নিরালা কানন-পথে কে তুমি চল একেলা
বাণী
নিরালা কানন-পথে কে তুমি চল একেলা। দু'ধারে চরণ-পাতে ফুটায়ে ফুলের মেলা।। তোমার ওই কেশের সুবাস ফুলবন করিছে উদাস কুসুম ভুলিয়া মলয় ও কেশে করিছে খেলা।। লুটায়ে পড়ে ফুল-দল পরিবে বলিয়া খোঁপায় ওগো চলিবে বলি' বনতল ফুলেরা পরাগে রাঙায়, ও-পায়ে আলতা হ'তে চায় রঙিন গোধূলি-বেলা।। 'চলিয়া যেয়ো না, যেয়ো না' বলি' লতারা চরণে জড়ায়, রোধিতে কন্টক-তরু, আঁচল ছাড়িতে না চায়; আকাশে ইশারায় ডাকে দ্বিতীয়া চাঁদের ভেলা।।
নাহি কেহ আমার ব্যথার সাথী
বাণী
নাহি কেহ আমার ব্যথার সাথী, জ্বলি পিল্সুজে একা মোমের বাতি। পতঙ্গ সুখি, পুড়ে এক নিমেষে – পুড়িয়া মরি আমি সারা রাতি।। আসে যে সুখের দিনে বন্ধু রূপে, অসময়ে যায় স’রে চুপে চুপে। উড়ে গেছে অলি ফুল ঝরেছে বলি’ – কাঁদি একাকী কণ্টক-শয্যা পাতি’।। কেহ কারো নয় তবু প্রাণ কাঁদে চকোর চাহে যেন সুদূর চাঁদে, শুধু বেদনা পাই প্রেম-মোহে মাতি’।।
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর
বাণী
নাচে শ্যাম সুন্দর গোপাল নটবর সুঠাম মনোহর মধুর ভঙ্গে ঘিরি' সে চরণ ঘুরিছে অগণন গ্রহ-তারা গোপী সম রঙ্গে।। হেরিয়া তাহারি নৃত্যের হিল্লোল পবন উন্মন সাগরে জাগে দোল সে নাচে বিবশ নিশীথ দিবস জাগে হিন্দোল আলো-আঁধার তরঙ্গে।। সে নাচে বৃষ্টি হয় কোটি সৃষ্টি নির্ঝর সম ঝরে ছন্দ সে নাচ হেরিয়া বন্ধন টুটে গো জাগে অনন্ত আনন্দ। ষড় ঋতু ঘুরে' ঘুরে' হেরে সেই নৃত্য প্রেমাবেশে মাতোয়ারা নিখিলের চিত্ত তাই এ ত্রিভুবন হলো না রে পুরাতন পেল চির-যৌবন নাচি' তারি' সঙ্গে।।
নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি
বাণী
নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি নবীর কল্মা হেঁকে ফিরি পথে দিবস-যামী।। আমার নবীজির পিয়ারি আয়রে ছুটে মুসলিম নারী, দ্বীনের সওদা করবি কে আয় আয় রে মুক্তিকামী।। জন্ম আমার হাজার বছর আগে আরব দেশে সারা ভুবন ঠাঁই দিয়েছে আমায় ভালোবেসে। আমার আজান ধ্বনি বাজে — কুল মোমিনের বুকের মাঝে আমি নবীর মানস কন্যা আল্লাহ্ মোর স্বামী।।