নিশি-রাতে রিম ঝিম ঝিম বাদল-নূপুর
বাণী
নিশি-রাতে রিম ঝিম ঝিম বাদল-নূপুর বাজিল ঘুমের মাঝে সজল মধুর।। দেয়া গরজে বিজলি চমকে জাগাইল ঘুমন্ত প্রিয়তমকে আধো ঘুম-ঘোরে চিনিতে নারি ওরে 'কে এলো কে এলো' ব'লে ডাকিছে ময়ূর।। দ্বার খুলি' পড়শি কৃষ্ণা-মেয়ে আছে চেয়ে' মেঘের পানে আছে চেয়ে — কারে দেখি আমি কারে দেখি মেঘলা আকাশ না ঐ মেঘলা-মেয়ে। ধায় নদী জল মহাসাগর পানে বাহিরে ঝড় কেন আমায় টানে জমাট হয়ে আছে বুকের কাছে নিশীথ-আকাশ যেন মেঘ ভারাতুর।।
নীরব সন্ধ্যা নীরব দেবতা খোলো
বাণী
নীরব সন্ধ্যা, নীরব দেবতা খোলো মন্দির দ্বার। ম্লান হ’ল বেদনায় অঞ্জলি নিশি-গন্ধ্যার।। নিভিয়া যায় হায় অঞ্চল-তলে নয়নের প্রদীপ নয়নের জলে, শুকাইল নিরাশায় চন্দন ফুলদল তোমার বরণ ডালার।। মৌন র’বে আর কতকাল বল পাষাণ-বেদীতে, কত জনম কত পূজারিণীর আয়ু-দীপ নিভাইতে। দিনের তপস্যার শেষে সাঁঝ-লগনে আশার চাঁদ কি গো উঠিবে না গগনে, আমার শেষ বাণী তোমার চরণে — নিবেদনের ক্ষণ পাব নাকি আর।।
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া
বাণী
নব কিশলয়-রাঙা শয্যা পাতিয়া বালিকা-কুঁড়ির মালিকা গাঁথিয়া আমি একেলা জাগি রজনী বঁধু,এলো না তো কই সৃজনী, বিজনে বসিয়া রচিলাম বৃথা বনফুল দিয়া ব্যজনী। কৃষ্ণচূড়ার কলিকা অফুট আমি তুলি আনিবৃথা রচিনু মুকুট, মোর হৃদয়ের রাজা এলো না, মোর হৃদি-সিংহাসন শূন্য রহিল আমি যাহার লাগিয়া বাসর সাজাই সে ভাবে মিছে এ খেলনা (সখি)। সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে সখি, আমি মরণের তীরে ব'সে তা'রে ডাকি হেসে যায় বঁধু আনঘরে সে-যে জীবন লইয়া খেলা করে। সে-যে পাষাণের মুরতি বৃথা পূজা-আরতি নিবেদন করি তার পায়: সাধে কি গো বলে সবে পাষাণ গলেছে কবে? তবু মন পাষাণেই ধায় (সখি রে)। আমি এবার মরিয়া পুরুষ হইব,বঁধু হবে কুলবালা দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা, বিরহিণীর কি যে জ্বালা তখনি বুঝিবে কালা। দিয়ে তারে ব্যথা যাব যথাতথা বুঝিবে সেদিন কালা।।