প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
বাণী
প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে।। তারে নয়ন দিয়ে খুঁজি যখন অন্তরে সে লুকায় তখন অন্তরে তায় ধরতে গেলে লুকায় গিয়ে নয়ন-পাতে।। ঐ দেখি তার হাসির ঝিলিক আমার ধ্যানের ললাট-মাঝে ধরতে গেলে দেখি সে নাই কোন্ সুদূরে নূপুর বাজে। এত কাছে রয় সে তবু পাই না তারে হাতে হাতে।।
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি
বাণী
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু। পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।। শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে, (ওগো) ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।। তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়, অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়। মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি, আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।
পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
বাণী
পুরুষ : পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)। স্ত্রী : হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না, পুরুষ : হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না, স্ত্রী : না — না — পুরুষ : হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে, স্ত্রী : না — না — উভয়ে : হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে, ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে। পুরুষ : মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা স্ত্রী : বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া, পুরুষ : হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর খোল গো মনের দ্বার স্ত্রী : মুখে আসে না বুকের ভাষা, ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা পুরুষ : প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া স্ত্রী : কে করে সে-প্রেমের আশা পুরুষ : চাও — চাও — স্ত্রী : যাও — যাও — উভয়ে : খেলিব দুজনে মানে অভিমানে এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।
প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্মি শাড়ি
বাণী
প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্মি শাড়ি। আজি তোমার রূপের সাথে চাঁদের আড়ি॥ প’রো ললাটে কাঁচপোকার টিপ, তুমি আলতা প’রো পায়ে হৃদি নিঙাড়ি’॥ প্রজাপতির ডানা-ঝরা সোনার টোপাতে, ভাঙা ভুরু জোড়া দিও বাতুল শোভাতে। বেল-যূথিকার গ’ড়ে মালা প’রো খোঁপাতে দিও উত্তরীয় শিউলি-বোঁটার রঙে ছোপাতে, রাঙা সাঁঝের সতিনী তুমি রূপ-কুমারী॥