ঝাঁপতাল

  • অগ্নি-ঋষি অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে

    বাণী

    অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে;
    তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥
    		দহন-বনের গহন-চারী —  
    		হায় ঋষি — কোন্ বংশীধারী দেশি
    নিঙ্‌ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে।
    সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥
    দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে,
    হঠাৎ সে কার শুন্‌লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে।
    		বজ্রে তোমার বাজল বাঁশি,
    		বহ্নি হল কান্না-হাসি,
    সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী — মন সরে না কাজে।
    তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥
    
  • আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি

    বাণী

    আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি
    অধীর আনন্দে অন্তর কাঁপে ঝরে প্রেমবারি॥
    বকুল-বন হরষে ফলদল বরষে
    গাহে রাধা শ্যাম নাম হরি-চরণ হেরি শুকসারি॥
    
  • আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা

    বাণী

    আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
    যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা।।
    যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা,
    ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
    বাগিচায় গোলাব গুল্‌ গাঁথে যাঁর মালা।।
    আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
    খোদার নামের পরে জপে অবিরাম
    কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা।।
    পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে
    ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে,
    মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতা’লা।।
    
  • আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন

    বাণী

    আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন।
    (আহা) আহাদ সেথা বিরাজ করেন হেরে গুণীজন।।
    যে চিন্‌তে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী,
    সে সকল ত্যজে ভজে শুধু নবীজীর চরণ।।
    ঐ রূপ দেখে পাগল হ’ল মনসুর হল্লাজ,
    সে ‌‘আনল্ হক্‌’ ‌‘আনল্ হক্‌’ ব’লে ত্যজিল জীবন।।
    তুই খোদ্‌কে যদি চিন্‌তে পারিস্‌ চিন্‌বি খোদাকে,
    তুই দেখ্‌রে তাই তোরই চোখে সেই নূরী রওশন।।
    

  • খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল

    বাণী

    খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল।
    রাঙা চরণে মধুর সুরে বাজে নূপুর-তাল॥
    	নবীন নাটুয়া বেশে
    	নাচে কভু হেসে হেসে,
    যাশোমতীর কোলে এসে দোলে কভু গোপাল॥
    ‘ননী দে’ বলিয়া কাঁদে কভু রোহিণী-কোলে,
    জড়ায়ে ধ’রে কদম তরু তমাল-ডালে দোলে।
    	দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গ হ’য়ে
    	বাজায় মুরলী ল’য়ে,
    কভু সে চরায় ধেনু বনের রাখাল॥
    
  • গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ

    বাণী

    গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
    নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥
    চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে,
    মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে,
    নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।।
    প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর —
    দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে
    শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে,
    বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্‌
    
  • চির-কিশোর মুরলীধর

    বাণী

    চির-কিশোর মুরলীধর কুঞ্জবন-চারী।
    গোপনারী-মনোহারী বামে রাধা প্যারী।।
    শোভে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম করে,
    গোষ্ঠ-বিহারী কভু, কভু দানবারি।।
    তমাল-তলে কভু কভু নীপ-বনে,
    লুকোচুরী খেল হরি ব্রজ-বধূ সনে।
    মধুকৈটভারি কংস-বিনাশন,
    কভু কণ্ঠে গীতা, শিখী-পাখা-ধারী।।
    
  • জয় আনন্দ-ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি

    বাণী

    	জয়, আনন্দ-ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি,
    গঙ্গাধর চন্দ্র চূড় শিব তীব্র-ধ্যানী।।
    	তব সূর্যকান্তি রাগে
    	প্রাণে প্রভাত-শান্তি জাগে,
    পর প্রধান পূর্ণরূপ, হে শুদ্ধ জ্ঞানী।।
    সরল মতি শঙ্কর হে, নাচো গরল পিয়ে,
    আশুতোষ তুষ্ট তুমি বিল্বদল নিয়ে।
    	মৃত্যু-ভীত বিশ্বজনে
    	তমসা মগন ভুবনে,
    শোনাও আনন্দিত মাভৈঃ অভয়বাণী।।
    
  • জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল

    বাণী

    জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল।
    কভু প্রশান্ত উদার, কভু কৃতান্ত করাল॥
    	কভু পার্থ-সারথি-হরি
    	বংশীধারী কংস-অরি,
    কভু গোপাল বনমালী কিশোর রাখাল॥
    বিপুল মহা-বিরাট কভু বৃন্দাবন-বিলাসী,
    শঙ্খ-গদা-চক্র-পাণি মুখে মধুর হাসি।
    	সৃষ্টি বিনাশে
    	লীলা-বিলাসে,
    মগ্ন তুমি আপন ভাবে অনাদিকাল॥
    
  • জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত

    বাণী

    জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত
    	আত্মা অনিরুদ্ধ
    	কল্যাণ প্রবুদ্ধ।
    জাগো শুভ্র জ্ঞান পরম
    নব প্রভাত পুষ্প সম
    	আলোক-স্নান-শুদ্ধ।।
    সকল পাপ কলুষ তাপ দুঃখ গ্লানি ভোলো
    পুণ্য প্রাণ-দীপ-শিখা স্বর্গ পানে তোলো।
    বাহিরে আলো ডাকিছে জাগো তিমির কারারুদ্ধ।।
    	ফুলের সম আলোর সম
    	ফুটিয়া ওঠ হৃদয় মম
    রূপ রস গন্ধে অনায়াস আনন্দে জাগো মায়া-বিমুগ্ধ।।
    
  • জাগো অরুণ ভৈরব জাগো

    বাণী

    জাগো অরুণ ভৈরব জাগো হে শিব-ধ্যানী।
    শোনাও তিমির-ভীত-বিশ্বে নব দিনের বাণী।।
    	তোমার তপঃ-তেজে, শিব
    	দগ্ধ বুঝি হয় ত্রিদিব,
    শরণাগত চরণে তব — হের নিখিল প্রাণী।।
    ধ্যান হোক অঙ্গ তব শক্তি ল’য়ে সঙ্গে,
    সৃষ্টির আনন্দে, হর, লীলা কর রঙ্গে।
    	ললাটের বহ্নি ঢাকো
    	শশী-লেখার তিলক আঁকো,
    ফণি হোক মণিহার, হে পিনাক-পাণি।।
    
  • থির হয়ে তুই ব’স দেখি মা

    বাণী

    থির হয়ে তুই ব’স দেখি মা খানিক আমার আঁখির আগে
    দেখব নিত্য লীলাময়ী থির হলে তুই কেমন লাগে।।
    	শান্ত হ’লে ডাকাত মেয়ে
    	কেমন দেখায় দেখব চেয়ে (মা গো)
    চিন্ময় শিব শম্ভু কেন চরণ-তলে শরণ মাগে।।
    দেখব চেয়ে জননী তুই সাকারা না নিরাকারা
    কেমন করে কালি হয়ে নামে ব্রক্ষ্মজ্যোতিধারা।
    	কোলে নিতে কোলের ছেলে
    	শ্মশান জাগিস বাহু মেলে
    কেমন ক’রে মহামায়া তোর বুকে মায়া জাগে।।
    
  • পথিক ওগো চল্‌তে পথে

    বাণী

    পথিক ওগো চল্‌তে পথে
    	তোমায় আমায় পথের দেখা।
    ঐ দেখাতে দুইটি হিয়ায়
    	জাগ্‌ল প্রেমের গভীর রেখা।।
    এই যে দেখা শরৎ-শেষে
    পথের মাঝে অচিন্‌ দেশে,
    কে জানে ভাই কখন কে সে
    	চল্‌ব আবার পথটি একা।।
    এই যে মোদের একটু চেনার
    	আবছায়াতেই বেদন জাগে
    ফাগুন হাওয়ার মদির ছোঁওয়া
    	পূবের হাওয়ার কাঁপন লাগে।
    হয়ত মোদের শেষ দেখা এই
    এম্‌নি ক’রে পথের বাঁকেই
    রইল স্মৃতি চারটি আঁখেই
    	চেনার বেদন নিবি লেখা।।
    
  • প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত

    বাণী

    প্রিয়	মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
    		(প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায়
    	মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা
    		নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।।
    দিলে 	মুখে তক্‌বির, দিলে বুকে তৌহিদ
    দিলে 	দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ
    দিলে 	প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন
    		শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।।
    তব	সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে
    শুধু	নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে
    	ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে
    		আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।
    

  • ভবনে ভুবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ

    বাণী

    ভবনে ভুবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ।
    রাঙিল, মাতিল ধরা অভিনব ঢং।।
    রাঙা বসন্ত হাসে নন্দন-আনন্দে
    চিত্ত-শিখী নাচে মদালস-ছন্দে,
    নাচিছে পরানে আজি তরুণ দূরন্ত বাজায়ে মৃদঙ।।
    কামোদে নটে আমোদে ওঠে গান,
    মাতিয়া ওঠে প্রাণ।
    উতল যমুনা-জল-তরঙ্গ,
    অঙ্গে অপাঙ্গে আজি খেলিছে অনঙ্গ,
    পরানে বাজে সারং সুর কাফির সঙ্গ।।
    
  • ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিনী

    বাণী

    ভবানী শিবানী দশপ্রহরণধারিনী
    দুখ-পাপ-তাপ হারিণী ভবানী।।
    কলুষ-রিপু-দানব-জয়ী
    জগৎ-মাতা করুণাময়ী
    জয় পরমাশক্তি মাতা ত্রিলোকধারিণী।।
    

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর

    বাণী

    যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
    ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
    চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
    স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
    ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
    ললাটে শশী নাহি হাসে
    গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
    ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
    ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥
    
  • সাজিয়াছ যোগী বল কার লাগি

    বাণী

    সাজিয়াছ যোগী বল কার লাগি’
    		তরুণ বিবাগী
    	হের তব পায়ে
    	কাঁদিছে লুটায়ে
    নিখিলের প্রিয়া তব প্রেম মাগি’
    		তরুণ বিবাগী।।
    ফাল্গুন কাঁদে
    দুয়ারে বিষাদে
    	‌খোলো দ্বার খোলো!
    	যোগী, যোগ ভোলো!
    	এত গীত হাসি
    	সব আজি বাসি,
    উদাসী গো জাগো! নব অনুরাগে
    		জাগো অনুরাগী
    		তরুণ বিবাগী।।
    
  • সৃজন ছন্দে আনন্দে

    বাণী

    সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচো নটরাজ
    হে মহকাল প্রলয়–তাল ভোলো ভোলো।।
    	ছড়াক তব জটিল জটা
    	শিশু–শশীর কিরণ–ছটা
    উমারে বুকে ধরিয়া সুখে দোলো দোলো।।
    মন্দ–স্রোতা মন্দাকিনী সুরধুনী–তরঙ্গে
    সঙ্গীত জাগাও হে তব নৃত্য–বিভঙ্গে।
    	ধুতরা ফুল খুলিয়া ফেলি’
    	জটাতে পর চম্পা বেলী
    শ্মশানে নব জীবন, শিব, জাগিয়ে তোলো।।