বাণী

ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
মোরে কাঁদায় নিতি যে ফিরিবে না আর।
ফিরায়েছি যা’য় কাঁদাইয়া হায়
সে কেন কাঁদায় মোরে বারেবার।।
তারই দেওয়া ফুলমালা, যারে দলিয়াছি পায়
সেই ছিন্নমালা কুড়ায়ে নিরালা আজি রাখি হিয়ায়।
বারে বারে ডাকি প্রিয় নাম ধ’রে তা’র।।
হানি’ অবহেলা যারে দিয়েছি বিদায়
আজি তারি স্মৃতি, সে কোথায় সে কোথায়।
জ্বালি’ নয়ন-প্রদীপ জাগি বাতায়নে
নিশি ভোর হয়ে যায় বৃথা জাগরণে
আজি স্বর্গ শূন্য মোর তারি বিহনে
কাঁদি আকাশ বাতাস মোর করে হাহাকার।।

বাণী

ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে
থাকিতে দে লো এ পথে পড়ে
যে পথ ধরে গিয়াছে হরি চলি’
আমি যাব না আর গোকুলে,
সখি শিশিরে আর ভয় কি করি ভেসেছি যবে অকূলে
সখি দিসনে লো দিসনে লো রাখ গোপী-চন্দন,
চন্দনে জুড়ায় না প্রাণের ক্রন্দন।
দ্বিগুণ বাজায় জ্বালা নব মালতী-মালা,
ও যে মালা নয়, মনে হয় সাপিনীর বন্ধন।।
সখি যাহার লাগিয়া বসন ভূষণ, সেই গেল যদি চলে
কি হবে এ ছার ভূষণের ভার ফেলে দে যমুনা-জলে।
সকলের মায়া কাটায়েছি সখি, টুটিয়াছে সব বন্ধন,
যেতে দে আমায়, যথা মথুরায় বিহরে নন্দ-নন্দন।।
দেখব তারে, রাজার সাজে দেখব তারে
রাজার সাজে কেমন মানায় গো-রাখা রাখাল-রাজে।

বাণী

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।

নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

বাণী

ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর ফুরাবে না এই ফুল
এই হাসি ঐ চাঁপার সুরভি ভুল নহে, ভুল নহে, নহে ভুল॥
		জানি জানি মোর জীবনের সঞ্চয়,
		রসঘন-মাধুরীতে হবে মধুময়
তবে কেন আমার বকুল-কুঞ্জে বাঁশরি হইল আকুল॥
		কৃষ্ণা তিথিতে নাই যদি হাসে চাঁদ,
		ফুরাবে না মোর পূর্ণ রসের সাধ
যমুনার ঢেউ থাকুক আমার (আমি) নাই দেখিলাম কূল॥

চলচ্চিত্রঃ ‘দিকশূল’

বাণী

ফোরাতের পানিতে নেমে 
ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।।
দু'হাতে তুলিয়া পানি 
ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।।
দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে,
দুশ্‌মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে;
শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।।
এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার,
এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্‌ হাহাকার;
শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।।
বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে,
এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে;
শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।। 

বাণী

ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী!
তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!!
	সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি
	নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি;
গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।।
আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে,
এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে।
	আবার প্রেমের বংশী বাজাও,
	এই হানাহানি হিংসা ভুলাও,
আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।