সাদ্রা

  • খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল

    বাণী

    খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল।
    রাঙা চরণে মধুর সুরে বাজে নূপুর-তাল॥
    	নবীন নাটুয়া বেশে
    	নাচে কভু হেসে হেসে,
    যাশোমতীর কোলে এসে দোলে কভু গোপাল॥
    ‘ননী দে’ বলিয়া কাঁদে কভু রোহিণী-কোলে,
    জড়ায়ে ধ’রে কদম তরু তমাল-ডালে দোলে।
    	দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গ হ’য়ে
    	বাজায় মুরলী ল’য়ে,
    কভু সে চরায় ধেনু বনের রাখাল॥
    
  • গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ

    বাণী

    গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
    নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥
    চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে,
    মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে,
    নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।।
    প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর —
    দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে
    শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে,
    বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্‌
    
  • জাগো অরুণ ভৈরব জাগো

    বাণী

    জাগো অরুণ ভৈরব জাগো হে শিব-ধ্যানী।
    শোনাও তিমির-ভীত-বিশ্বে নব দিনের বাণী।।
    	তোমার তপঃ-তেজে, শিব
    	দগ্ধ বুঝি হয় ত্রিদিব,
    শরণাগত চরণে তব — হের নিখিল প্রাণী।।
    ধ্যান হোক অঙ্গ তব শক্তি ল’য়ে সঙ্গে,
    সৃষ্টির আনন্দে, হর, লীলা কর রঙ্গে।
    	ললাটের বহ্নি ঢাকো
    	শশী-লেখার তিলক আঁকো,
    ফণি হোক মণিহার, হে পিনাক-পাণি।।
    
  • ঝিল্লি-নূপুর বাজে

    বাণী

    ঝিল্লি-নূপুর বাজে।
    বিভাবরী নাচে বন-শবরী সাজে।।
    তিমির কুন্তলে তারার ফুল দোলে
    চাঁদের চন্দন-ফোঁটা ললাট-মাঝে।।
    দোলে নদী-জল অঞ্চল ধীরে
    বন-বেণী দোলে চঞ্চল-সমীরে।
    জাগে দুরন্ত নিশীথ-বসন্ত
    ঘুমন্ত নববধূ রেঙে ওঠে লাজে।।
    
  • যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর

    বাণী

    যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
    ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
    চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
    স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
    ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
    ললাটে শশী নাহি হাসে
    গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
    ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
    ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥
    
  • শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী

    বাণী

    শ্রীকৃষ্ণ মুরারী গদাপদ্মধারী
    মধুবন-চারী গিরিধারী ত্রিভুবন-বিহারী।।
    	লীলা-বিলাসী গোলকবাসী
    	রাধা তুলসী প্রেম-পিয়াসী
    মহা বিরাট বিষ্ণু ভূ-ভার হরণকারী।।
    	নব-নীরদ-কান্তি-শ্যাম
    	চির কিশোর অভিরাম
    রসঘন-আনন্দ-রূপ মাধব বনোয়ারী।।
    
  • হিন্দোলি’ হিন্দোলি’ ওঠে নীল সিন্ধু

    বাণী

    হিন্দোলি’ হিন্দোলি’ 
    		ওঠে নীল সিন্ধু
    গগনে উঠিল তার
    		কোন্ পূর্ণ ইন্দু।।
    শত শুক্তি-আঁখি দিয়া
    পিইছে চাঁদ-অমিয়া,
    শিশির রূপে ঝরিয়া
    		পড়ে জোছনা-বিন্দু।।