গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়
বাণী
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়। সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়। আহা ভূঁই-কদম তারা পায়ে জড়ায়।। সুর শুনে তার সাঝেঁর ঠোটেঁ, বাঁকা শশীর হাসি ফোটে, গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা মাটির আবির ছড়ায়। তারা রাঙা মাটির আবির ছাড়ায়।। গগন গোঠে গ্রহ তারা সে সুর শুনে দিশেহারা হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়।। জল নিতে নদী কূলে কুলবালা কূল ভুলে সন্ধ্যা তারা প্রদীপ তুলে বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়। তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।।
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে
বাণী
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা। রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ) যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।। অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী (ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী। শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী, পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।। কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত। প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।। বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।
গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’
গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
বাণী
গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥ বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥ যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥ কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি গীতা উদ্গাতা পার্থসারথি পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥
গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে
বাণী
গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে। দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।। জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে, বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম — লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।। মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে, এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে। কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে, দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল — কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।