গোঠের রাখাল বলে দে রে
বাণী
গোঠের রাখাল, বলে দে রে কোথায় বৃন্দাবন। (যথা) রাখাল–রাজা গোপাল আমার খেলে অনুক্ষণ।। (যথা) দিনে রাতে মিলন–রাসে চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে, (যা’র) পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।। (যথা) কৃষ্ণ–নামের ঢেউ ওঠে রে সুনীল যমুনায়, (যা’র) তমাল–বনে আজো মধুর কানুর নূপুর শোনা যায়। আজো যাহার কদম ডালে বেণু বাজে সাঁঝ–সকালে, নিত্য লীলা করে যথা মদন–মোহন।।
গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা
বাণী
গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা, প্রসীদ! কর ক্ষমা! দেবী নমস্তে। শতমুখীধারিণী ভীমহুঙ্কারিণী যেন গন্ডারিনী দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে।দেবী নমস্তে।। চীৎকারে মাঝ রাতে পড়শীরা জেগে যায় তক্তাপোষের নীচে ছেলে পিলে ভেগে যায় পদভরে দুদ্দাড় ভেঙ্গে পড়ে ঘর দ্বার চেড়ীদের সর্দার হাতা-বেড়ী-হস্তে।দেবী নমস্তে।। শান্ত শিষ্ট এই গোবেচারা স্বামী তোমার পুলিশ কোর্টে চিরকাল আসামী তেড়ে আসে বীরজায়া তুমি কুঁদো মোটকা। বেগতিক দেখে ছুটি আমি রোগা পট্কা। কাঁছাকোঁচা বেসামাল ব্যস্তে সমস্তে।দেবী নমস্তে।। তুমি পূর্বজন্মে ছিলে ভোজপুরি দারোয়ান আমি বলীবর্দ তুমি ছিলে গাড়োয়ান; ময়দা ছিলাম আমি তুমি নিয়ে ঠাসতে। আহা হা টুটি কেন টিপে ধর? আস্তে, শ্বস্তে।দেবী নমস্তে।।
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
বাণী
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥ চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে, মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে, নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।। প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর — দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে, বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্
গুল–বাগিচার বুলবুলি আমি
বাণী
গুল–বাগিচার বুলবুলি আমি রঙিন প্রেমের গাই গজল। অনুরাগের লাল শারাব মোর আঁখি ঝলে ঝলমল (হায়)।। আমার গানের মদির ছোঁয়ায় গোলাপ কুঁড়ির ঘুম টুটে যায়, সে গান শুনে প্রেমে–দীওয়ানা কবির আঁখি ছলছল (হায়)।। লাল শিরাজীর গেলাস হাতে তন্বী সাকি পড়ে ঢুলে, আমার গানের মিঠা পানির লহর বহে নহর–কূলে। ফুটে ওঠে আনারকলি নাচে ভ্রমর রং–পাগল (হায়)।। সে সুর শুনে দিশেহারা ঝিমায় গগন ঝিমায় তারা, চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা বনের চোখে১ শিশির জল (হায়)।।
১. বনের পাতায়