বরণ করে নিও না গো
বাণী
বরণ করে নিও না গো নিও হরণ ক’রে। ভীরু আমায় জয় কর গো তোমার মনের জোরে।। পরান ব্যাকুল তোমার তরে চরণ শুধু বারণ করে, লুকিয়ে থাকি তোমার আশায় রঙিন বসন প’রে।। লজ্জা আমার ননদিনী জটিলারই প্রায়, যখনই যাই, শ্যামের কাছে দাঁড়ায়ে আছে ঠায়। চাইতে নারি চোখে চোখে দেখে পাছে কোন লোকে, নয়নকে তাই শাসন (বারণ) করি অশ্রুজলে ভ’রে।।
বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে
বাণী
বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে চল সই সই পাতাবি গাঁদা ফুলের সনে।। নিয়ে পাথর কুচি, আউস ধানের গুছি অজয় নদীর ধারে খেল্ব নিরজনে।। দেখিস্ আস্বে ফিরে তোর চাঁদ নতুন চাঁদে, চাঁদ-মুখ রেখে ঘরে কে সই রইতে পারে আঁধার কয়লা খাদে! আস্বে পোষা কোকিল, ডাকবে মহুল বনে।। কিন্বে ধেনো জমি এবার টাকা এনে, সে আর যেন গয়না কাপড় না কেনে তোর বলতে যদি লাজে বাধে মুখে আমি বল্ব তারে যা তুই ভাবিস মনে।।
বাদল ঝর ঝর আসিল ভাদর
বাণী
বাদল ঝর ঝর আসিল ভাদর বহিছে তরলতর পুবালি পবন। মেঘলা যামিনী, দামিনী চমকায় কালো মেয়ের ভীরু প্রেমের মতন।। আমি ভুলে গেছি, মেঘেরা ভোলেনি সেই কালো চোখ, সেই বিনুনী-বেণী, প্রিয়ার দূতী সম, স্বরণে আনে মম এসেছিল একদিন এমন শুভ-লগন।। আর কিছু ছিল কি, ছিল না ত’ স্মরণে, শুধু জানি দুই জন ছিনু এই ভুবনে। সহসা মোদের মাঝে ছুটে এলো পারাপার কে কোথায় হারাইনু, কূল নাহি পেনু আর, মনে পড়ে বরষায়, তার সেই অসহায় বিদায় বেলার আঁখি অশ্রু-সঘন।।
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে
বাণী
বিশ্ব ব্যাপিয়া আছ তুমি জেনে শান্তি ত’ নাহি পাই। রূপ ধরে এসো, দাঁড়াও সুমুখে, দেখিয়া আঁখি জুড়াই॥ আমার মাঝারে যদি তুমি রহ কেন তবে এই অসীম বিরহ কেন বুকে বাজে নিবিড় বেদনা মনে হয় তুমি নাই॥ চাঁদের আলোকে ভরে না গো মন, দেখিতে চাই যে চাঁদ, ফুলর গন্ধ পাইলে, জাগে যে ফুল দেখিবার সাধ। (ওগো) সুন্দর, যদি নাহি দেবে ধরা কেন প্রেম দিলে বেদনায় ভরা রূপের লাগিয়া কেন প্রাণ কাঁদে রূপ যদি তব নাই॥