এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
বাণী
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা — হে পথিক যাও ফিরে।। এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে — হে পথিক যাও ফিরে।। পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’। এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে — হে পথিক যাও ফিরে।। যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’ র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’ কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে — হে পথিক যাও ফিরে।।
এবারের পূজা মাগো দশভূজা
বাণী
মা-মা-মা-মা-মা-মাগো এবারের পূজা মাগো দশভূজা বড় দুর্গতিময়। পড়েছিস এ.বি.সি.ডি? বুঝিস ব্ল্যাক আউট কারে কয়? ব্ল্যাক আউট মানে যত কালো ছিল বাহির হয়েছে মাগো যত আলো ছিল যত ভালো ছিল, সকলেরে বলে ভাগো। ডাইনে বাঁ ধারে ভীষণ আঁধারে হাঁটু কাঁপে আর হাঁটি আমড়ার মত হয়ে আছি মাগো চামড়া এবং আঁটি। নন্দী ভৃঙ্গী সিঙ্গি যাইলে তাহারাও ভয় পাবে তাদের দিব্য দৃষ্টি লয়েও মাগো আঁধারে হোঁচট খাবে। বলি বিগ্রহ তোর কে দেখিতে যাবে মা কুগ্রহের ফেরে বিড়ি খেয়ে ফেরে গুন্ডারা যদি দেয় মাগো ভুঁড়ি ফেড়ে। মা তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেরা এসে ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে মা মেকুর ডাকিলে কেঁদে উঠি ওঙা ওঙা; ঢেঁকির আওয়াজ শুনলে মাগো ভয়ে খাড়া হয়ে ওঠে রোঁয়া। সত্য পথে মা চলিতে পারি না পথে কাদা রাখে ফেলে উচিত কথা মাগো বলিতে পারি না চিৎ করে দেয় ফেলে। এ চিতে শক্তি দে মা চিৎ করবো ভয়কে বলবো এবার তোরে খাব দে মা মাগো মা।।
নাট্য-গ্রন্থঃ ‘ব্লাক আউট’
ব্ল্যাক আউট নাট্যগ্রন্থের এই পাঠকে, আদি রেকর্ডের (এন. ২৭২০৬) পাঠের তুলনায়, স্বতন্ত্র গান হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
[অগ্রন্থিত নজরুল, সংকলন ও সম্পাদনাঃ ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, ডি.এম. লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০০৩]
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো
বাণী
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো। এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।। এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে, এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে; তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।। এলো পবনে বিহ্বল চঞ্চলতা যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা। অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি; ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি; বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি, দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।
নাটিকা: ‘বাসন্তিকা’