বিদায় সন্ধ্যা আসিল ওই
বাণী
বিদায়–সন্ধ্যা আসিল ওই ঘনায় নয়নে অন্ধকার। হে প্রিয়, আমার, যাত্রা–পথ অশ্রু–পিছল ক’রোনা আর।। এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার।। হেথা কেহ কারো বোঝে না মন যারে চাই হেলা হানে সে’ জন যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাই হৃদি ভালোবাসার। তুমি বুঝিবেনা কি অভিমান মিলনের মালা করিল ম্লান উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার।।
বকুল চাঁপার বনে কে মোর
বাণী
বকুল চাঁপার বনে কে মোর চাঁদের স্বপন জাগালে — অনুরাগের সোনার রঙে হৃদয়-গগন রাঙালে।। ঘুমিয়ে ছিলাম কুমুদ-কুঁড়ি বিজন ঝিলের নীল জলে পূর্ণ শশী তুমি আসি’ আমার সে ঘুম ভাঙালে।। হে মায়াবী তোমার ছোঁয়ায় সুন্দর আজ আমার তনু তোমার মায়া রচিল মোর বাদল মেঘে ইন্দ্র ধনু। তোমার টানে হে দরদি দোল খেয়ে যায় কাঁদন-নদী কূল হারা মোর ভালোবাসা আজকে কূলে লাগালে।।
বনের মনের কথা ফুল হয়ে
বাণী
বনের মনের কথা ফুল হয়ে জাগে। কয় না সে কথা তবু তারে ভালো লাগে।। শ্যাম পল্লবে তনু ছেয়ে যায়, ভরে ওঠে সুরভিত সুষমায়। ফুটে ওঠে তার না বলা বাণী রক্তিম অনুরাগে।। বন মর্মরে সেই মৌনীর শুনি মৃদু গুঞ্জন ললিতার মত তার ভালোবাসা, গভীর-চির গোপন। যত সে নিজেরে লুকাইতে চায়, তত মধু তার উছলিয়া যায়। কত সে পলাশে, কত সে অশোকে কত কুঙ্কুম ফাগে।।
বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে
বাণী
বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে আকাশের তারা পৃথিবীর ফুল গণি বন্ধু ফুল পড়ে ঝরে,তারা যায় মরে (ফিরে) এলো না হৃদয়-মণি।। কত নদী পেল খুঁজিয়া সাগর আমিই পাই না তোমার খবর বন্ধু সকলেরি চাঁদ ওঠে রে আমারি চির আঁধার রজনী।। যমুনার জলও শুকায় রে বন্ধু আমার শুকায় না আঁখি-বারি এত কান্দন কাঁদিলে গোকূলে হতাম-ব্রজ-কুমারী বন্ধু হতাম রাধা প্যারী। মহা পারাবার তারও আছে পার আমার দুখের পার নাহি আর বন্ধু মণি না পাইনু বৃথায় পুষিনু কাল-বিরহের ফণি পুষিনু কাল-বিরহের ফণি।।
বঁধু মিটিলনা সাধ ভালবাসিয়া
বাণী
বঁধু মিটিলনা সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়। তাই আবার বাসিতে ভালো আসিব ধরায়।। আবার বিরহে তব কাঁদিব আবার প্রণয়–ডোরে বাঁধিব, শুধু নিমেষেরি তরে আঁখি দুটি ভ’রে — তোমারে হেরিয়া ঝ’রে যাব অবেলায়।। যে গোধূলি–লগ্নে নববধূ হয় নারী, সেই গোধূলি–লগ্নে বঁধু দিল আমারে গেরুয়া শাড়ি। বঁধু আমার বিরহ তব গানে সুর হয়ে কাঁদে প্রাণে প্রাণে, আমি নিজে নাহি ধরা দিয়ে — সকলের প্রেম নিয়ে দিনু তব পায়।।