বল সখি বল ওরে স'রে যেতে বল
বাণী
বল সখি বল ওরে স'রে যেতে বল। মোর মুখে কেন চায় আঁখি-ছলছল, ওরে স'রে যেতে বল।। পথে যেতে কাঁপে গা শরমে জড়ায় পা, মনে হয় সারা পথ হয়েছে পিছল ওরে স'রে যেতে বল।। জল নিতে গিয়ে সই ওর চোখে চেয়ে রই সান-বাঁধা ঘাট যেন কাঁপে টলমল ওরে স'রে যেতে বল।। প্রথম বিরহ মোর চায় কি ও চিত-চোর; চাঁদিনী চৈতী রাতে আনে সে বাদল স'রে যেতে বল ওরে স'রে যেতে বল।।
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে
বাণী
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে। সেই চৈতালি গোধূলি-লগনে এসো তুমি ধীরে ধীরে — গিরি-ঝর্নার তীরে।। বনের কিশোর এসো সেথা হেসে হেসে সাজায়ো আমায় বন-লক্ষ্মীর বেশে, ধোওয়াব তোমার চরণ-কমল বিরহ-অশ্রু নীরে।। ঘনায়ে গহন সন্ধ্যার মায়া আসিও সোনার রথে, অতি সুকোমল শিঁরিশ, কুসুম বিছায়ে রাখিব পথে। মালতী-কুঞ্জে ডাকিবে পাপিয়া পাখি তুমি এসে বেঁধো আলোক-লতার রাখি, ভ্রমরের সম পিপাসিত মোর আঁখি কাঁদিবে তোমারে ঘিরে।।
বল প্রিয়তম বল
বাণী
বল প্রিয়তম বল — মোর নিরাশা-আঁধারে আলো দিতে তুমি কেন দীপ হ’য়ে জ্বল॥ যত কাঁটা পড়ে মোর পথে যেতে যেতে, কেন তুমি তাহা লহ বঁধু বুক পেতে। যদি ব্যথা পাই বুঝি পথে তাই তুমি ফুল বিছাইয়া চল॥ বল হে বিরহী, তুমি আমারে অমৃত এনে দাও কেন নিজে উপবাসী রহি’। মোর পথের দাহন আপন বক্ষে নিয়ে, মেঘ হয়ে চল সাথে সাথে ছায়া দিয়ে। মোর ঘুম না আসিলে কেন কাঁদ চাঁদ হয়ে ঢলঢল॥
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়
বাণী
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়! তুই নির্ভর কর্ আপনার ‘পর আপন পতাকা কাঁধে তুলে ধর্ ওরে যে যায় যাক্ সে, তুই শুধু বল্ ‘আমার হয়নি লয়’! বল্ ‘আমি আছি’, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির-দুর্জয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! যে গেল সে নিজেরে নিঃশেষ করি’ তোদের পাত্র দিয়ে গেল ভরি’! ঐ বন্ধ মৃত্যু পারেনি ক’ তাঁরে পারেনি করিতে লয়! তাই আমাদের মাঝে নিজেরে বিলায়ে সে আজি শান্তিময় বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে রুদ্র তখনি ক্ষুদ্রেরে গ্রাসে আগেই যবে সে ম’রে থাকে ত্রাসে ওরে আপনার মাঝে বিধাতা জাগিলে বিশ্বে সে নির্ভয় এই ক্ষুদ্র কারায় কভু কি ভয়াল ভৈরব বাঁধা রয়? বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে আত্ম-অবিশ্বাসী, ভয়ে-ভীত! কেন হেন ঘন অবসাদ চিত বল্ পর-বিশ্বাসে পর-মুখপানে চেয়ে কি স্বাধীন হয়? তুই আত্মাকে চিন্, বল আমি আছি,’ ‘সত্য আমার জয়’! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!