বাণী

	বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো।
	অভিসার-নিশি অবসান হ’ল।।
	পান্ডুর চাঁদ হের অস্তাচলে
	জাগিয়া শ্রান্ত-তনু পড়েছে ঢ’লে,
তার 	মল্লিকা১ মালা ম্লান বক্ষতলে — 
	অভিমান-অবনত আঁখি তোলো।।
	উতল সমীর আমি নিমেষের২ ভুল,
	কুসুম ঝরাই কভু৩ ফোটাই মুকুল।
	আলোকে শুকায় মোর প্রেমের শিশির
	দিনের বিরহ আমি মিলন নিশির,
	হে প্রিয়, ভীরু এ স্বপন-বিলাসীর — 
	অকরুণ প্রণয় ভোলো ভোলো।।

১. মিলনের, ২. ক্ষণিকের, ৩. আমি

বাণী

আবৃত্তি:	কুমারী রাধিকা ঘোষের প্রতি শ্রীমৎ ক্যাগ বিমাতার উক্তি:
		বলি মাথা খাস্ রাধে ওলো কথা শোন্।
		বলি কুল আর তুই খাস্‌নে (রাধে কুল আর তুই খাস্‌নে)
		ওলো গোকুল ঘোষের কন্যা যে তুই কুল গাছ পানে চাস্‌নে
		(পরের কুল গাছ পানে চাস্‌নে)
		ও কুল গাছে বড় কাঁটা
		গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা
		(রাধে গায়ে অথবা পায়ে বিঁধিলে দায় হবে পথ হাঁটা)
		কলঙ্ক দিলি (কলঙ্ক দিলি)
		তুই যারি তারি কুল চুরি করে খেলি
		গোকুলের কুলে কলঙ্ক দিলি (কুলে কলঙ্ক দিলি) রাধে গো।
		ওলো ভাবিস এখনও বয়েস হয়নি কারণ বেড়াস ফ্রক পরে।
		ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক
		(ওই কুল গাছ আগলায় ভীমরুল চাক)
		তোর কুল খাওয়া বের হবে ফুলে হবি ঢাক
		(ফুল হবি জয় ঢাক)।
		বলি পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে
		(রাধে পড়তে নাকি কুল খেতে যাস রোজ রোজ ইস্কুলে)
		ওই কুলেরি কাঁটায় দুকুল ছিঁড়িস বেণী আঁটিস খুলে
		(রাধে বেণী আঁটিস খুলে)
		খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল
		(খাস তুই টোপা কুল খাস নারকুলে কুল)
		অত কুল খেয়ে রাতে পেট ডাকে কুল কুল কুল কুল।
		ওলো কুলোতে নারি (কুলোতে নারি)
		ওলো তোর কুল দিয়ে আর কুলোতে নারি (দিয়ে কুলোতে নারি)
		ছিল কুলুঙ্গীতে কুলের আচার তাও খেয়েছিল কুল খোয়ারী
		(কুলুঙ্গীর ও কুলের আচার তাও খেয়েছিস কুল খোয়ারী)।
		ওই কুল গাছ ধরে (সখি গো রাধে গো)
		(বহুত আচ্ছা দাদা বহুত আচ্ছা বহুত আচ্ছা)
		ওই কুল গাছ ধরি কোলাকুলি করি ফ্যাসাদ বাধাবি শেষে
		আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে
		(আর কুল ত্যাগিনী হবে কি নাশিনী কুল গাছ ভালোবেসে)॥

বাণী

বাজে মৃদঙ্গ বরষার ওই দিকে দিকে দিগন্তরে
নীরস ধরা সরস হলো কাহার যাদু-মন্তরে।।
বন-ময়ুর আনন্দে নাচে ধারা-প্রপাত ছন্দে
ঝরঝর গিরি-নির্ঝর স্রোতে অন্তর সুখে সন্তরে।।
শ্যামল প্রিয়-দরশা হলো ধূসর পথ-প্রান্তর
বন্ধু-মিলন হরষা গাহে দাদুরি অবান্তর।
	শ্রাবন প্লাবন বন্যাতে
	আজি পুষ্পে পল্লবে বন মাতে
এলো শ্যাম শোভন সুন্দর প্রাণ-চঞ্চল ক'রে মন্থরে।।

বাণী

বৃজমে আজ স্যখি ধূম ম্যচাও
অওরী বৃজবালা ম্যঙ্গল গাও।।
গুঁথো স্যখিরি স্যব কুসুম-মালা
দেখ্যন কো চ্যলো নন্দকে লালা
বৃজকে ঘ্যর ঘ্যর হর‍্যষ মানাও।।

নাটিকাঃ ‘জন্মষ্টমী’

বাণী

		বন্ধু রে, বন্ধু — পরান বন্ধু
আমার	দূরের বন্ধু আছে আমার ঐ গাঙের পারের গাঁয়ে।
		ঝরা-পাতর পত্র আমার যায় ভেসে তার পায়ে।।
			জানি জানি আমার দেশে
			আমার নেয়ে আসবে ভেসে,
ওরে		চির ঋণী আছে সে যে আমার প্রেমের দায়ে।।
		নূতন আশার পাল তু সে আসবে ফিরে ঘরে
		ফুটেছে তাই কাশ-কুসুমের হাসি শুকনো চরে।
			পিদমি জ্বেলে তারি আশায়
			গহীন গাঙের স্রোতে ভাসায়
ওরে		ঐ পিদিমের পথ ধ'রে সে আসবে সোনার নায়ে।।

বাণী

বঁধু	আমি ছিনু বুঝি বৃন্দাবনের রাধিকার আঁখি-জলে।
	বাদল সাঁঝের যুঁই ফুল হয়ে আসিয়াছি ধরাতলে।।
তাই	যেমনি মিলন সাধ ওঠে জেগে
তুমি	লুকাও হে চাঁদ বিরহের মেঘে,
আমি	পূবালী পবনে ঝরে যাই বনে দলগুলি যেই খোলে।।
বঁধু	এই বুঝি হায় নিয়তির লেখা মিলন আমার নহে —
	ক্ষনিকের শুভ-দৃষ্টি লভিয়া কাঁদিব পরম বিরহে।
			বুঝি মিলন আমার নহে —
		আসিব না আমি মাধবী নিশীথে
		বরষায় শুধু আসিব ঝুরিতে,
	অসহায় ধারা-স্রোতে ভেসে যাব, মালা হব নাকো গলে।।