বাণী

ব’লো না ব’লো না ওলো সই
		আর সে কথা।।
তরু কি লতার কাছে
এসে কভু প্রেম যাচে
তরু বিনা নাহি বাঁচে
		অসহায় লতা।।
ভুলিতে যার নাই তুলনা
সখি তার কথা তুলো না
প্রাণহীন পাষাণে গড়া
		সে যে দেবতা।।

বাণী

বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি।
এসো এসো কুসুম সুকুমার শীতের মায়া-কুহেলি অবহেলি’॥
পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দুল্ দোলায়
(পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দেয় দোলন্)
	উতলা দখিন হাওয়া
কোকিল কুহরে কুহু কুহু স্বরে মদির স্বপন-ছাওয়া।
হাসে গীত-চঞ্চল, জোছনা-উজল মাধবী রাতি
	এসো এসো যৌবন সাথি
ফুল-কিশোর, হে চিতচোর, দেবতা মোর।
	মম লাজ অবগুণ্ঠন ঠেলি’॥

বাণী

বৃথা তুই কাহার পরে করিস অভিমান
পাষাণ-প্রতিমা সে যে হৃদয় পাষাণ।।
রূপসীর নয়নে জল নয়ন-শোভার তরে
ও শুধু মেঘের লীলা নভে যে বাদল ঝরে।
চাতকেরই তরে তাহার কাঁদে না পরান।।
প্রণয়ের স্বপন-মায়া,ধরিতে মিলায় কায়া
গো-ধূলির রঙের খেলা ক্ষণে অবসান।।

বাণী

ব্রজ–গোপী খেলে হোরী
খেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে।
রাঙা অধরে ঝরে হাসির কুম্‌কুম্‌
অনুরাগ–আবীর নয়ন–পাতে।।
পিরীতি–ফাগ মাখা গোরীর সঙ্গে
হোরি খেলে হরি উন্মাদ রঙ্গে।
বসন্তে এ কোন্ কিশোর দুরন্ত
রাধারে জিনিতে এলো পিচ্‌কারী হাতে।।
গোপীনীরা হানে অপাঙ্গ খর শর ভ্রুকুটি ভঙ্গ
অনঙ্গ আবেশে জর জর থর থর শ্যামের অঙ্গ।
শ্যামল তনুতে হরিত কুঞ্জে
অশোক ফুটেছে যেন পুঞ্জে পুঞ্জে
রঙ–পিয়াসি মন ভ্রমর গুঞ্জে
ঢালো আরো ঢালো রঙ প্রেম–যমুনাতে।।

বাণী

বাঁশি বাজায় কে কদম তলায় ওলো ললিতে
শুনে সরে না পা পথ চলিতে।।
তার বাঁশির ধ্বনি যেন ঝুরে ঝুরে
আমারে খোঁজে লো ভুবন ঘুরে
(ওসে) কি যেন চাহে মোরে বলিতে।।
আছে গোকুল নগর আরো কত নারী
কত রূপবতী বৃন্দাবন-কুমারী
	আছে গোকুল নগরে।
কেন আমারি নাম লয়ে বংশীধারী
আসে নিতি-নিতি মোরে ছলিতে।
সখি নির্মল কুলে মোর কৃষ্ণ -কালি
কেন লাগালে কালিয়া বনমালী
আমার বুকে দিল তুষের আগুন জ্বালি
আরো কত জনম যাবে জ্বলিতে।।

বাণী

বাজ্‌ল কি রে ভোরের সানাই নিদ্‌-মহলার আঁধার-পুরে
শুন্‌ছি আজান গগন-তলে আঁধার-রাতের মিনার-চূড়ে।।
সরাই-খানার্‌ যাত্রীরা কি
‘বন্ধু জাগো’ উঠ্‌ল হাঁকি’?
নীড় ছেড়ে ঐ প্রভাত-পাখি
			গুলিস্তানে চল্‌ল উড়ে’।।
তীর্থ-পথিক্‌ দেশ-বিদেশের
আর্‌ফাতে আজ জুট্‌ল কি ফের,
‘লা শরীক আল্লহু’ মন্ত্রের
			নাম্‌ল কি বান পাহাড় ‘তূরে’।।
আজকে আবার কা’বার পথে
ভিড় জমেছে প্রভাত হ’তে,
নামল কি ফের্ হাজার স্রোতে
			‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে।।
আবার ‘খালেদ’ ‘তারেক’ ‘মুসা’
আনল কি খুন-রঙিন ভূষা,
আস্‌ল ছুটে’ হাসীন ঊষা
			নও-বেলালের শিঁরিন সুরে।।