মা আমি তোর অন্ধ ছেলে
বাণী
মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে হাত ধ’রে মোর নিয়ে যা মা। পথ নাহি পাই যেদিকে চাই দেখি আঁধার ঘোর ত্রিযামা।। আমি নিজে পথ চলিতে যাই বারে বারে পথ ভুলি মা তাই মায়া-কূপে পড়ে কাঁদি কোথায় দয়াময়ী শ্যামা।। মা তুই যবে হাত ধ’রে চলিস্ রয় না পতন-ভয়, তুই যবে পথ দেখাস্ মা গো সে পথ জ্যোতির্ময়। কি হবে জ্ঞান-প্রদীপ নিয়ে সাথে বৃথা এ দীপ জন্মান্ধের হাতে তুই যদি হ’স নির্ভর মোর পথের ভয় আর রবে না মা।।
অন্তরে প্রেমের দীপ জ্বলে যার
বাণী
অন্তরে প্রেমের দীপ জ্বলে যার, ত্রিভুবনে নাই তার কোথাও আঁধার।। পথের ধূলি তারই চরণ যাচে আকাশ কথা কয় তাহারি কাছে, তা’রি তরে খোলা থাকে সকলের ঘর সকলের হৃদয়-দুয়ার।। কে বলে ভিখারিনী সে — কে বলে সে ভিখারি। ভিক্ষা-ঝুলিতে তার বিশ্ব থাকে — ভগবান তাহার দ্বারী। তার রীতি বোঝা যায় না বুকে যার বহে নিতি পিরিতি-জোয়ার।।
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায়
বাণী
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে। মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।। আঘাত দিলে, দিলে বেদন রাঙাতে হায়, পারলে না মন, প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।। আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা, হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা। শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।। ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা, নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
বাণী
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়। মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।। যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।। আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী। শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী? এই পূজা-বিলাস সংহার কর্ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।
ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো
বাণী
ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো তুই উঠলি রেঙে যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো।। তোর মন আইঢাই কি দেখে কে জানে তুই চুন বলে দিস হলুদ বাটা পানে তুই লাল নটে শাক ভেবে কুটিস শাড়ির আঁচল গো।। তুই এ ঘর যেতে ও ঘরে যাস পায়ে বাধে পা বউ তোর রঙ্গ দেখে হাসছে ননদ জা। তুই দিন থাকিতে পিদিম জ্বালিস ঘরে ওলো রাত আসিবে আরো অনেক পরে কেন ভাতের হাঁড়ি মনে ক'রে উনুনে দিস জল গো।।