কেন আমায় আন্লি মাগো
বাণী
কেন আমায় আন্লি মাগো মহাবাণীর সিন্ধু কূলে। মোর ক্ষুদ্র ঘটে এ সিন্ধু-জল কেমন ক’রে নেবো তুলে।। চতুর্বেদে এই সিন্ধুর জল ক্ষুদ্র চারিবিন্দু হয়ে করছে টলমল, এই বাণীরই বিন্দু যে মা গ্রহ তারা গগন মূলে। ইহারই বেগ ধরতে শিরে, শিবের জটা পড়ে খুলে।। অনন্তকাল রবি-শশী এই সে-মহাসাগর হ’তে, সোনার ঘটে রসের ধারা নিয়ে ছড়ায় ত্রিজগতে। বাঁশিতে মোর স্বল্প এ আধারে অনন্ত সে-বাণীর ধারা ধরতে কি মা পারে? শুনেছি মা হয় সীমাহীন ক্ষুদ্রও তোর চরণ ছুঁলে।।
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক
বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়
বাণী
বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়। নবীজী নাই-উঠ্ল মাতম মদিনায়।। আঁখি-প্রদীপ এই ধরনীর গেল নিভে ঘির্ল তিমির, দীনের রবি মোদের নবী চায় বিদায়। সইল না রে বেহেশ্তী দান দুনিয়ায়।। না পূরিতে সাধ-আশা না মিটিতে তৌহিদ-পিপাসা, যায় চ’লে দীনের শাহানশাহ্ — হায় রে হায়, সেই শোকেরি তুফান বহে ‘লু’ হাওয়ায়।। বেড়েছে আজ দ্বিগুণ পানি দজ্লা ফোরাত নদীতে, তূর ও হেরা পাহাড় ফেটে অশ্রু-নিঝর ব’য়ে যায়। ধরার জ্যোতি হরণ ক’রে উজল হ’ল ফের বেহেশত্ কাঁদে পশু-পাখি ও তরুলতায়, সেই কাঁদনের স্মৃতি দোলে দরিয়ায়।।
আসিলে কে গো বিদেশি
বাণী
আসিলে কে গো বিদেশি দাঁড়ালে মোর আঙিনাতে। আঁখিতে ল’য়ে আঁখি-জল লইয়া ফুল-মালা হাতে।। জানি না চিনি না তোমায় কেমনে ঘরে দিব ঠাঁই অমনি আসে তো সবাই হাতে ফুল, জল নয়ন-পাতে।। কত সে প্রেম-পিয়াসি প্রাণ চাহিছে তোমার হাতের দান কাঁদায়ে কত গুলিস্তান আমারে এলে কাঁদাতে।। ফুলে আর ভোলে না মোর মন, গলে না নয়ন-জলে, ভুলিয়া জীবনে একদিন আজিও জ্বলি জ্বালাতে।।
মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি
বাণী
পুরুষ : মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে। স্ত্রী : ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ — তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।। পুরুষ : মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু — চাই না আমি সে মধু; স্ত্রী : চাইনে চাইনে বঁধু — তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই। পুরুষ : স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।। উভয়ে : চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে জোছনায় ভেসে — নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।