বাণী

ভারতলক্ষ্মী মা আয় ফিরে এ ভারতে
ব্যথায় মোদের চরণ ফেলে অরুণ আশার সোনার রথে॥
অশ্রু গঙ্গার জলে ধুই মা তোর চরণ নিতি
ত্রিশ কোটি কণ্ঠে বাজে রোদনে তোর বোধনগীতি
আয় মা দলিত রাঙা হৃদয় বিছানো পথে॥
বিজয়া তোর হ’ল কবে শতাব্দী চলিয়া যায়
ভারত-বিজয়-লক্ষ্মী ভারতে ফিরিয়া আয়
বিসর্জনের কান্না মা এবার তুই এসে থামা
সফল কর এ তপস্যা মা স্থান দে স্বাধীন জগতে॥

বাণী

(হায় গো) 	ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল।
		ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।।
		শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা,
		এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া।
(হায় গো) 	নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।।
		এবার ধ’রে দিস্ যদি তায়
		রাখ্‌ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়,
		কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।।
		সোঁদা-মাখা নিস্‌নে কেশে, গন্ধে যে লো তার
		মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার।
		এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।

বাউল

বাণী

মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা।
ঝরা পাতায় বাজে
মৃদুল তাহার পায়ের ভাষা।।
আসার কথা জানায়
ঐ যে ফুলের আখর সবুজ পাতায়,
ঐ দোয়েল শ্যামার কূজন কয় যে বাণী
ঐ ঐ তার ভালোবাসা।।
মদির সমীরণে
তনুর সুবাস পাই যে ক্ষণে ক্ষণে,
সবুজ বসন ফেলি’
পরল ঐ বন কুস্‌মী রাঙা চেলি।
তাই বসুন্ধরায় জাগে অরুণ আশা —
ঐ ঐ যে আলোকের পিপাসা।।

বাণী

কেন	মনে জাগে উদাসিনী গৌরী উমার স্মৃতি!
আর	কত দূরে কত দেরি আনন্দময়ীর আসার তিথি।।
	কেন	পদ্মদীঘি দুলে ওঠে হৃদয়ে
	মোর	নন্দিনী মা আসে কি রাঙা চরণ ল’য়ে?
কেন	নয়নের বাতায়নে উতলা হ’ল, অশ্রুর ভ্রমর-বীথি।।
	তার মন নাই, উন্মনা চিন্ময়ী সে, তাই ছেলের কথা মনে নাই,
	শারদ-শ্রী এলো, পরমা-শ্রী কই — কাঁদি আর পথ-পানে চাই।
	ওকি	ঘরে এসে, নাম ধরে, ডেকে চ’লে যায়
		শিউলির অঞ্জলি ফেলে আঙিনায়,
	ভোরের ভৈরবী বুকে মোর কাঁদে গো, ওকি তার করুণ-গীতি।।

গীতিচিত্রঃ শারদ-শ্রী

বাণী

ওগো ও আমার কালো —
গহন বনে বুকের মাঝে জ্বালো তুমি জ্বালো
		ওগো আমার আলো গো।।
	কাজলা মেঘের অন্তরালে
	তোমার রূপের মানিক জ্বলে
আমার কালো মনের তলে জ্বালাও তুমি আলো গো।।
একলা ব’সে দিন যেন মোর কাটে
কইতে কথা বুক যে আমার ফাটে গো
আঁধার যখন আসবে ঘিরে জ্বালবে তুমি আলো গো।।

বাণী

ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো দো জাহান
এই তুফানে ডুবু ডুবু জমিন ও আসমান।।
ঈদের চাঁদের পানসি ছেড়ে বেহেশত হতে
কে পাঠালো এত খুশি দুখের জগতে
শোন ঈদগাহ হতে ভেসে আসে তাহারি আজান।।

রেকর্ড-নাটিকা:‘ঈদুল ফেতর’