বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

(আমার) 	আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে।
		হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥
			মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে
			মা মা ব’লে ছুটে আসে,
		‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥
		তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে,
		না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে।
			ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায়
			কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’।
		যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥

বাণী

রাঙা পির্‌হান প'রে শিশু নবী খেলেন পথে।
দেখে হুর-পরীরা সব লুকিয়ে বেহেশ্‌ত হ'তে।।
মোহনী সুরত বাঁকা চাঁদে চন্দন মাখা।
নূরানী রওশনী তাঁর চমকে দিনের আলোতে।।
নাচের তালে তালে সোনার তাবিজ দোলে,
চরণ তলে ধূলি কাঁদে মোহাম্মদ ব'লে।
নীল রেশমি রুমাল বাঁধা তাঁর চাঁচর কেশে
রাঙা সালোয়ার প'রে নাচে সে হেসে হেসে,
খোদার আরশ টলে সে রূপ-সুধা-স্রোতে।।

বাণী

ঐ ঘর ভোলানো সুরে কে গান গেয়ে যায় দূরে। 
তার সুরের সাথে সাথে মোর মন যেতে চায় উড়ে।। 
তা'র সহজ গলার তানে ১
সে ফুল ফোটাতে জানে, 
তা'র সুরে ভাটির-টানে নব জোয়ার আসে ঘুরে।। 
তা'র সুরের অনুরাগে 
বুকে প্রণয়-বেদন জাগে; 
বনে ফুলের আগুন লাগে, ফুল সুধায় ওঠে পুরে।। 
বুঝি সুর-সোহাগে ওরি, 
পায় যৌবন কিশোরী, 
হিয়া বুঁদ হয়ে গো নেশায় তার পায়ে পায়ে ঘুরে।।

১. গানে

বাণী

আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে মদিনায় —
জাত-পাক মুস্তাফার রওজা মুবারক যেথায়।।
মরিয়া আছি দুখে মাশরেকী এই মুল্লুকে,
পড়ব মাগরিবের নামাজ কবে খানা-এ কা'বায়।।
হজরতের নাম তসবি করে যাব রে মিসকিন বেশে
ইসলামের ঐ দ্বীনী ডঙ্কা বাজল প্রথম যে দেশে।
কাঁদব ধরে মাজার শরীফ ধরে শুনব সেথায় কান পাতি, —
নবীর মুখে তেমনি কি রে রব ওঠে 'এ্যায় উম্মতি'!
পাক কোরানের কালাম হয়ত সেথা শোনা যায়।।

বাণী

হে মোর স্বামী, অন্তর্যামী, লহ সকলি আমার।
লহ প্রীতি-প্রেম-পূজা লহ পায়ে গলার হার।।
	হে প্রিয়তম, সকলি লহ;
	মান-অভিমান ব্যথা-বিরহ।
দুঃখের দাহ, সুখের মোহ লহ হে অশ্রু-ধার।।
	যাহা কিছু আপন, দিতে যা বাকি
	যাহা কিছু গোপন, লুকায়ে রাখি
যাহা কিছু প্রিয় অঞ্চলে ঢাকি; লহ হে বঁধূ এবার।।
	তোমায় চাওয়ার পাওয়ার আশা,
	তোমায় না-পাওয়ার ব্যথা-নিরাশা,
তোমারে দিলাম মোর ভালোবাসা বিফলতা হাহাকার।।