তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে
বাণী
তোমার কবরে প্রিয় মোর তরে একটু রাখিও ঠাঁই। মরণে যেন সে পরশ পাই গো জীবনে যা পাই নাই।। তোমারে চাহিয়া ওগো প্রিয়তম কাঁদিয়া আমার কাটিল জনম, কেঁদেছি বিরহে এবার যেন গো মিলনে কাঁদিতে পাই।। ঐ কবরের বাসর ঘরে গো তোমার বুকের কাছে কাঁদিবে লায়লী, মজনু তোমার য’দিন ধরণী আছে। যে যাহারে চায় কেন নাহি পায়, কেন হেথা প্রেম-ফুল ঝ’রে যায় — প্রেমের বিধাতা থাকে যদি কেউ শুধাইব তারে তাই।।
নাটিকা: ‘লায়লী মজনু’
তুই মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে
বাণী
(তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে তুই আমারে কোল্ দিবি, না আমিই নেব কোলে।। মা হয়ে তুই মা গো আমার, নিবি কি মোর সংসার-ভার। দিন ফুরালে আসব ছুটে, মা তোর চরণ-তলে। (তুই) মুছিয়ে দিবি দুঃখ-জ্বালা, তোর স্নেহ-অঞ্চলে।। এক হাতে মোর পূজার থালা ভক্তি-শতদল। (ও মা) আর এক হাতে ক্ষীর নবনী, কি নিবি তুই বল্। ওমা কি নিবি তুই বল্। মেয়ে হ’য়ে মুক্ত কেশে, খেল্বি ঘরে হেসে হেসে, ডাকলে মা তুই ছুটে এসে, জড়াবি মোর গলে। (তোরে) বক্ষে ধ’রে শিব-লোকে যাব আমি চলে।।
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ রাখ চরণে। মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥ গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥ হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায় তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়। হরি সব তরী ডুবে যায় তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়, তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥