বাণী

সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি আমার হবে
আমার ধ্যানে আমার জ্ঞানে প্রাণ মন মোর ঘিরে রবে।।
	রইবে তুমি প্রিয়তম
	আমার দেহে আত্মা-সম
জানি না সাধ মিটবে কি-না -  তেমন করেও পাব যবে।।
পাওয়ার আমার শেষ হবে না পেয়েও তোমায় বক্ষতলে
সাগর মাঝে মিশে গিয়েও নদী যেমন ব’য়ে চলে।
	চাঁদকে দেখে পরান জুড়ায়
	তবু দেখার সাধ কি ফুরায়
মিটেছেল সাধ কি রাধার নিত্য পেয়েও নীল-মাধবে।।

বাণী

বরের বেশে আসবে জানি আজ মম সুন্দর।
পার হ’য়ে দূর বিরহ-লোক বহু যুগের পর।।
	আসে সে ঐ চুপে চুপে
	আমার মধুর মরণ রূপে
আর সে ছেড়ে যাবে না গো আমার-ঘর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

মুখে কেন নাহি বলো আঁখিতে যে কথা কহো
অন্তরে যদি চাহো মোরে তবে কেন দূরে দূরে রহো।।
     প্রেম -দীপ শিখা অন্তরে যদি জ্বলে
     কেন চাহো তারে লুকাইতে অঞ্চলে
পূজিবে না যদি সুন্দরে রূপ -অঞ্জলি কেন বহো।।
ফুটিলে কুসুম -কলি রহে না পাতার তলে,
কুণ্ঠা ভুলিয়া দখিনা-বায়ের কানে কানে কথা বলে।
     যে অমৃত-ধারা উথলে হৃদয় মাঝে
     রুধিয়া তাহারে রেখো না হৃদয় লাজে
প্রাণ কাঁদে যার লাগি, তারে কেন বিরহ দহনে দহো।।

বাণী

এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো ছলিতে।
কেন পুন বাঁশি বাজালে কাফি ললিতে।। 
নিশীথ গভীরে কেন আঁখি-নীরে এলে ফিরে ফিরে
			গোপন কথা বলিতে।।
দলিত কুসুম-দলে রচিয়াছি শয়ন,
অন্ধ তিমির রাতি, নিভু নিভু নয়ন;
মরণ বেলায় প্রিয় আনিলে কি অমিয়,
এলে কি গো নিঠুর ঝরা ফুল দলিতে।।

বাণী

শিব-অনুরাগিণী গৌরী জাগে।
আঁখি অনুরঞ্জিত প্রেমানুরাগে।।
	স্বপনে কি শিব এসে
	বর দিল বর-বেশে,
বালিকা বলিতে নারে, শরম লাগে।।
‘কি হয়েছে উমা তোর’ — গিরিরানী সাধে,
কে মাখালো কুম্‌কুম্‌ ভোরের চাঁদে?
	লুকায় মায়ের বুকে
	বলিতে বাধে মুখে,
পাগল শিব ঐ রূপ-ভিক্ষা মাগে।।

বাণী

জানি পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার
			এ জীবনে আর॥
		এ আমার ললাট লেখা
		আমি রব চির একা
নিমেষের দিয়ে দেখা কাঁদাবে আবার॥
		তুব হে জীবন স্বামী
		তোমারি আশায় আমি
আসিব এ ধরণীতে যুগে যুগে অনিবার॥