চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
বাণী
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম (কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম) বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।। নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায় মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্ঝিম্।। নলে যেম্নি দম্ দি অম্নি নল-দময়ন্তী লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু (ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে) শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায় (এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়) চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায় প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে) (দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।। আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে
বাণী
গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে। দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।। জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে, বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম — লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।। মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে, এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে। কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে, দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল — কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।
বন্ধু আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা
বাণী
বন্ধু, আজো মনে রে পড়ে আম কুড়ানো খেলা। আম কুড়াইবার যাইতাম দুইজন নিশি-ভোরের বেলা।। জোষ্ঠি মাসের গুমোঁট রে বন্ধু আস্ত নাকো নিদ রাত্রে আস্ত নাকো নিদ্ আম-তলায় এক চোর আইস্যা কাঁট্ত প্রাণে সিঁদ্ (আর) নিদ্রা গেলে ফেল্ত সে চোর আঙিনাতে ঢেলা।। আমরা দুইজন আম কুড়াইতাম, ডাক্ত কোকিল গাছে, ভোলো যদি — বিহান বেলার সূয্যি সাক্ষী আছে, (তুমি) পায়ের কাছে আম ফেইল্যা গায়ে দিতে ঠেলা।। আমার বুকের আঁচল থাইক্যা কাইড়া নিতে আম, বন্ধু, আজও পাই নাই দাসী সেই না আমের দাম, (আজ) দাম চাইবার গিয়া দেখি তুমি দিছ মেলা।। নিশি জাইগ্যা বইস্যা আছি, জোষ্ঠি মাসের ঝড়ে সেই না গাছের তলায় বন্ধু এখনো আম পড়ে তুমি কোথায় আমি কোথায় দুইজনে একেলা।।
কিশোর গোপ-বেশ মুরলিধারী
বাণী
কিশোর গোপ-বেশ মুরলিধারী শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ। দ্বিভুজ শ্যাম সুন্দর মূরতি অপরূপ অনিন্দ্য।। পরমাত্মারূপী পরম মনোহর গোলকবিহারী চিন্ময় নটবর, ময়ূর পাখাধারী চিকুর চাঁচর মণি-মঞ্জীর শোভিত শ্রীচরণারবিন্দ।। গলে দোলে নব বিকশিত কদম ফুলের মালা খেলে ঘিরে যাঁরে প্রেমময়ী গোপবালা, শোভিত স্বর্ণবর্ণ পীতবাসে ওঙ্কার বিজড়িত শ্রীরাধার পাশে, পদ্মপলাশ আঁখি মৃদু-হাসে — যেরূপ ধেয়ায় মুনি ঋষি দেববৃন্দ।।
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে
বাণী
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।। বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।। পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায় ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায় কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায় মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।