গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো
বাণী
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে। মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।। এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।। আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে, সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে। হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে, এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা
বাণী
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা বনমালী এসো দুলায়ে বনমালা॥ তব পথে বকুল ঝরিছে উতল বায়ে দলিয়া যাবে বলে অকরুণ রাঙা পায়ে রচেছি আসন তরুণ তমাল ছায়ে পলাশ শিমুলে রাঙা প্রদীপ জ্বালা॥ ময়ূরে নাচাও তুমি তোমারি নূপুর তালে বেঁধেছি ঝুলনিয়া ফুলেল কদম ডালে তোম বিনা বনমালী বিফল এ ফুল দোল বাঁশি বাজাবে কবে উতলা ব্রজবালা॥
গোধূলির শুভ লগন এনে
বাণী
গোধূলির শুভ লগন এনে সে কেন বিদায়ের বাঁশি বাজায়। ওর মিলনের মালা ভালো লাগে না বুঝি গো, ও-শুধু বিরহের অশ্রু চায়।। কে জানিত ও-বিরহ-বিলাসী সকালের ফুল চায়, সন্ধ্যায় উদাসী, দিনে যে ধরা দেয় দীনের মতন রাতে সে শূন্যে কেন মিশে যায়।। ঘরে এনে কেন ভোলাতে চায় ঘর আত্মা জড়ায়ে কাঁদে, আত্মীয়ে করে পর, প্রেম-কৃপা-ঘন সে নাকি সুন্দর — কেন তবে অসহ দুঃখ দিয়ে কাঁদায়।।
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল
বাণী
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল যুগে যুগে হ’য়ো প্রিয় জনমে জনমে বঁধু তব প্রেমে আমারে ঝুরিতে দিও॥ তুমি চির চঞ্চল চির পলাতকা প্রেমে বাঁধা প’ড়ে হ’য়ো মোর সখা মোর জাতি কুল মান তনু মন প্রাণ হে কিশোর হ’রে নিও॥ রাধিকার সম কুব্জার সম রুক্সিণী সম মোরে গোকুল মথুরা দ্বারকায় নাথ রেখো তব সাথী করে। গোপনে চেয়ো সব শত গোপীকায় চন্দ্রাবলী ও সত্যভামায় তেমনি হে নাথ চাহিও আমায় লুকায়ে ভালেবাসিও॥