ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায়
বাণী
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায় জ্বলিতে আসে। যে-দীপশিখায় পুড়িয়া মরে পতঙ্গ ঘোরে তাহারি পাশে।। অথই দুখের পাথার-জলে, সুখের রাঙা কমল দোলে কূলের পথিক হারায় দিশা দিবস নিশা তাহারি বাসে।। সুখের আশায় মেশায় ওরা বুকের সুধায় চোখের সলিল মণির মোহে জীবন-দহে বিষের ফণির গরল-শ্বাসে। বুকের পিয়ায় পেয়ে হিয়ায় কাঁদে পথের পিয়া লাগি’ নিতুই নূতন স্বর্গ মাগি’ নিতুই নয়ন জলে ভাসে।।
ফিরিয়া যদি সে আসে
বাণী
ফিরিয়া যদি সে আসে আমার খোঁজে ঝরা গোলাবে। আনিয়া সমাধি পাশে আমার বিদায় বাণী শোনাবে।। বলিও তারে এখানে এসে ডাকে যেন মোর নাম ধ’রে সে, রবাব যবে কাঁদিবে রমলা সুরের কোমল রেখাবে।। তৃষিত মরুর ধুসর গগন যেমন হেরে মেঘের স্বপন, তেমনি দারুণ তিয়াসা লয়ে কাটিল আমার বিফল জীবন — একটি ফোঁটা আঁখি–জল ঝরে যেন তার হাতের শরাবে।।
ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল
বাণী
ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল! কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল? 'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল, দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু। আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর, কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর? কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর, তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু — আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?' কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু আল্লাহু আল্লাহু।। যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায় কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়, যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়, নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু আল্লাহু আল্লাহু।।