বাণী

ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়
ফুল-ফোটাতে কে এলে ফুল ঝরানো সাঁঝ-বেলায়।।
	আজ কি মোর দিনের শেষে
	উঠলো চাঁদ মধুর হেসে'
কৃষ্ণা তিথির তৃষ্ণা মোর মিটলো ওই জোছনায়।।
আজ যে আঁখি অশ্রুহীন কি দিয়ে ধোয়াই চরণ'
সুন্দর বরের বেশে এলে কি আমার মরণ'!
	দেখ বসন্তের পাখি
	কোয়েলা গেছে ডাকি
আনন্দের দূত তুমি ডাকিয়া ফুল ফোটায়।।

বাণী

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।

নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

বাণী

ফিরে ফিরে দ্বারে আসে যায় কে নিতি।
তার অধরে হাসি আর নয়নে প্রীতি।।
দোদুল্ তাহার কায়া ঘনায় চোখে মায়া,
জেগে ওঠে দেখে তা’য় পুরানো স্মৃতি।।
তাহার চরণ-পাতে তাহার সাথে সাথে,
আসে আঁধার রাতে শুক্লা চাঁদের তিথি।।
গেলে মন দিতে চাহে না সে নিতে,
ধরিতে গেলে চোখে সে কী তার ভীতি।।
ডাকি প্রিয় ব’লে তবু যায় সে চ’লে,
পায়ে পায়ে দ’লে হৃদয় ফুল-বীথি।।

বাণী

ফাগুন ফুরাবে যবে —
উঠিবে দীরঘ শ্বাস চম্পার বনে
কোয়েলা নীরব হবে।।
আমারে সেদিন যদি স্মরণে আসে
বেদনা জাগে ঝরা ফুল সুবাসে
আমার স্মৃতি যত ঝরা পাতার মত
ফেলিয়া দিও নীরবে।।
যবে বাসর নিশি ফুরাবে
রাতের মিলন-মালা প্রভাতে মলিন হবে;
সুখ শশী অস্ত যাবে —
আসিবে জীবনে তব বৈশাখী মলিন হবে;
লুটাবে পথের' পরে ভেঙে যাবে ঘর
সেদিন স্মরণে তব আসিবে কি তাহারে
গৃহহীন করিয়াছ যাহারে ভবে।।

বাণী

ফণির ফণায় জ্বলে মণি কে নিবি তাহারে আয়।
মণি নিতে ডরে না কে ফণির বিষ জ্বালায়।।
করেছে মেঘ উজালা বজ্র মানিক মালা,
সে-মালা নেবে কি কালা মরিয়া অশনি যায়।।

নাটক : ‘মহুয়া’

বাণী

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
	ঘরে আয় ফিরে আয়।।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই —
কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
	ফিরে আয় ঘরে আয়।।
ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
	অভিমানী ফিরে আয়।।