বাণী

চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা —
রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।।
ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী'
হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।।
চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।
	ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা,
	রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা,
ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।

বাণী

চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন তুম ব্যনে বনওয়ারী।
ছিন লিয়ে হ্যয় গদা-পদম্‌ সব মিল করকে ব্রজনারী।।
	ছার ভুজা আব দো বনায়ে
	ছোড়কে বৈকুণ্ঠ ব্রিজ মে আয়ে,
রাস রচায়ে ব্রিজ্‌কে মোহন ব্যন্ গ্যয়ে মুরলী-ধারী।।
	সত্যভামাকো ছোড়কে আয়ে
	রাধা প্যারী সাথমে লায়ে,
বৈতরণী কো ছোড়কে ব্যন গ্যয়ে যমুনাকে তটচারী।।

বাণী

চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া
			তবু কেন তারে ভালোবাসি।
বলিতে পারি না বোঝাতে পারি না
			আঁখি-জলে যায় বুক ভাসি’।।
কেন সে বিরাজে		হৃদয়েরি মাঝে
তার স্বর যেন 		সদা প্রাণে বাজে
কি বাঁধনে মোরে		বেঁধেছে বল সে
			দিয়ে গেছে গলে প্রেম-ফাঁসি।।

বাণী

চল্‌ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা
চল্‌ অমর সমরে, চল ভাঙি’ কারা
জাগায়ে কাননে নব পথের ইশারা।।
প্রাণ-স্রোতের ত্রিধারা বহায়ে তোরা ওরে চল!
জোয়ার আনি, মরা নদীতে পাহাড় টলায়ে মাতোয়ারা।।
ডাকে তোরে স্নেহভরে ‘ওরে ফিরে আয় ফিরে ঘরে’
তারে ভোল্‌ ওরে ভোল্‌ তোরা যে ঘর-ছাড়া।।
তাজা প্রাণের মঞ্জুরি ফুটায়ে পথে তোরা চল্‌,
রহে কে ভুলে ছেঁড়া পুঁথিতে তাদের পরানে দে রে সাড়া।
রণ-মাদল আকাশে ঘন বাজে গুরু গুরু।
আঁধার ঘরে কে আছে প’ড়ে তাহার দুয়ারে দে রে নাড়া।।

বাণী

	চিকন কালো বেদের কুমার কোন্‌ পাহাড়ে যাও?
কোন্‌	বন-হরিণীর পরান নিতে বাঁশরি বাজাও?
	তুমি শিস্‌ দিয়ে গান গাও
	তুমি কুটিল চোখে চাও।।
	তীর-ধনুক নিয়ে সারাবেলা
	ও শিকারি, এ কি খেলা?
শাল গাছেরই ডাল ভাঙিয়া একটু বাতাস খাও।।
কাঁকর-ভরা কাঁটার পথে (আজ) নাই শিকারে গেলে,
অশথ্‌-তলে বাজাও বাঁশি (তোমার) হাতের ধনুক ফেলে’।
	তোমার কালো চোখের কাজল নিয়ে
	ঝিল উঠেছে ঝিল্‌মিলিয়ে, ঝিল্‌মিলিয়ে।
ঐ কমল ঝিলের শাপলা নিয়ে বাঁশিখানি দাও।।

বাণী

চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে।
নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।।
	যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে
	অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে,
তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।।
অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’,
অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী।
	মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও
	তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও,
কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও —
			হে উদাসীন আনমনে।।