বাণী

প্রভু	তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার
	শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥
		তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে
		তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে
	পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥
	ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল
	টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল।
		যেমন পরম র্ভিরতায়
		শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায়
	তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥

বাণী

প্রিয়	মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
		(প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায়
	মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা
		নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।।
দিলে 	মুখে তক্‌বির, দিলে বুকে তৌহিদ
দিলে 	দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ
দিলে 	প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন
		শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।।
তব	সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে
শুধু	নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে
	ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে
		আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।

বাণী

	পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
	আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
সখি, 	ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।।
	মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে,
			ওলো সই বুকে এসে বেঁধে,
আর,	চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে
				সই যত দেখি তা'রে।।
	ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে
	মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে।
	মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়,
			সখি লো চোখের পানে চায়,
আমি	বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো)
			সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।

বাণী

পিউ পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
বুকে তারি পিয়ারে চাপিয়া।।
বাতাবি নেবুর ফুলেলা কুঞ্জে
মাতাল সমীরণ প্রলাপ গুঞ্জে
ফুলের মহলায় চাঁদিনী শিহরায়
নদীকূলে ঢেউ ওঠে ছাপিয়া।।
এমনি নেবু ফুল এমনি মধুরাতে
পরাতো বঁধু মোর বিনোদ খোঁপাতে,
বাতায়নে পাখি করিত ডাকাডাকি
মনে পড়ে তায় উঠি কাঁপিয়া।।

বাণী

পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে
আসিলে এতদিন কেমনে পথ চিনে।।
তোমারে খুঁজিয়া কত রবি-শশী
অন্ধ হইল প্রিয় নিভিল তিমিরে
তব আশে আকাশ-তারা দ্বীপ জ্বালি'
জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে।
শুকায়েছে স্বরগ দেবতা তোমা বিনে।।
কত জনম ধরি' ছিলে বল পাসরি'
এতদিনে বাঁশরি বাজিল কি বিপিনে।।

বাণী

পাপিয়া আজ কেন ডাকে সখি, পিয়া পিয়া।
শুনি’, পিয়া পিয়া বোল্‌ ঝুরিছে আমার হিয়া।।
এমনি মধুরাতি, ছিল সে মোর সাথি,
সেদিন পাপিয়া এমনি উঠিত ডাকিয়া
সে কি আজ এলো তবে, চাঁদের মত নীরবে
হাসির জোছনাতে তার দশদিশি রাঙাইয়া।।

নাটকঃ ‘সর্বহারা’