পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো
বাণী
পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো পানসি বেয়ে’। ঢেউ-এর তালে তালে বাঁশিতে গজল গেয়ে’।। মেঘের ফাঁকে ফোটে বাঁকা শশীর চিকন হাসি, উজান বেয়ে চল তুমি কি তার চোখে চেয়ে।। ও-পারে লুকায়ে আঁধার গভীর ঘন বন-ছায়, আকাশে হেলান দিয়ে আলসে পাহাড় ঘুমায়। ঘুমায়ে দূরে সে কোন গ্রাম বাসরে পল্লী-বধূর প্রায় এ-পারে ধূ-ধূ বালুচর যেন নদীর আঁচল লুটায়। ছাড়ি’ এ সুখ-বাস চলেছ কোথায় গো নেয়ে।। নদীর দু’তীরে টানে বেতস-লতা উত্তরীয়, চমকি’ উঠি’ চখি ডাকে মুহু মুহু ‘কিও!’ চকোরী চাঁদে ভুলি’ চাহে তব মুখপানে, কেঁদে পাপিয়া শুধায়, ‘পিউ কাঁহা, কাঁহা পিও।’ তুমি যাও আপন-বিভোল স্বপনে নয়ন ছেয়ে’।।
প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
বাণী
প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে।। তারে নয়ন দিয়ে খুঁজি যখন অন্তরে সে লুকায় তখন অন্তরে তায় ধরতে গেলে লুকায় গিয়ে নয়ন-পাতে।। ঐ দেখি তার হাসির ঝিলিক আমার ধ্যানের ললাট-মাঝে ধরতে গেলে দেখি সে নাই কোন্ সুদূরে নূপুর বাজে। এত কাছে রয় সে তবু পাই না তারে হাতে হাতে।।