পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ
বাণী
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ বাঁধো আকুল চাঁচর কেশ।। বাঁকা ভুরুর মাঝে পর খয়েরি টিপ বকুল-বেলার হার, ছাড় মলিন বাস শাড়ি চাঁপা রং পর পর আবার। অধর রাঙাও সলাজ হাসিতে মোছ নয়ন-ধার — বিদেশী বন্ধু তোমারে স্মরিয়া ফিরে এলো নিজ দেশ।। মিলন-দিনে আর সাজে না মুখ-ভার ভোলো ভোলো অভিমান, মধুরে ডাক কাছে তায়, জুড়াও তাপিত প্রাণ। অরুণ-রাঙা হোক অনুরাগের রঙে করুণ সজল নয়ান — মরম বীণায় উঠুক বাজিয়া মিলন-মধুর রেশ।।
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে
বাণী
পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে। ‘পিউ পিউ পিউ কাঁহা’ পাপিয়া পিয়া বোলে।। সে পিয়া পিয়া সুরে বাদল ঝুরে, নদী-তরঙ্গ দোলে। কূলে কূলে কুলু কুলু নদী-তরঙ্গ দোলে। ফুটিল দল মেলি’ কেতকী, বেলি, শিখী পেখম খোলে। দু’লে দু’লে দু’লে নেচে’ শিখী পেখম খোলে।। পিয়ায় যা’রা নাহি পেল হেথায়, তাহারা কি এসেছে ধরায় পুন হইয়া পাপিয়া পাখি? দেখিয়া ঘরে ঘরে তরুণীর কালো আঁখি ‘পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা’ আজিও উঠিছে ডাকি’! পিয়া পাপিয়া পিয়া বোলে।।
প্রদীপ নিভায়ে দাও উঠিয়াছে চাঁদ
বাণী
প্রদীপ নিভায়ে দাও, উঠিয়াছে চাঁদ। বাহুর ডোর১ আছে, মালায় কি সাধ।। ফুল আনিও না ভবনে কেশের সুবাস তব ঘনাক মনে, হৃদয়ের লাগি মোর হৃদয় কাঁদে চন্দন লাগে বিস্বাদ।। খোলো গুণ্ঠন, ফেলে দাও আভরণ, হাতে রাখ হাত, তোলো আনত নয়ন। বাহিরে বহুক বাতাস বক্ষে লাগুক মোর তব ঘন শ্বাস, চম্পার ডালে ব’সে মোদেরে দেখে, কুহু আর পাপিয়ায় করুক বিবাদ।।
১. বাহু-বন্ধন