বাণী

ও ভাই	খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
		আমার দেশের মাটি।।
			এই দেশেরই মাটি জলে
			এই দেশেরই ফুলে ফলে
		তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি।।
			এই মায়েরই প্রসাদ পেতে
			মন্দিরে এর এঁটো খেতে
		তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি।
ও ভাই	এই দেশেরই ধূলায় পড়ি’
		মানিক যায় রে গড়াগড়ি
ও ভাই	বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো এই দেশেরই জিয়ন-কাঠি।।
			এই মাটি এই কাদা মেখে
			এই দেশেরই আচার দেখে
		সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি।
ও ভাই	সন্ন্যাসিনী সকল দেশে
		জ্বাল্‌লো আলো ভালোবেসে
মা		আঁধার রাতে এক্‌লা জাগে আগ্‌লে রে এই শ্মশান-ঘাঁটি।।

বাণী

ও কে	নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
	যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে
		মাঠে ওপার হতে।
তার	হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল
	নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল
	সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল
	গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।।
তার	ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর
	অকরুণ বাঁশির কিশোর;
	উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন
	এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।

বাণী

ওগো	এলে কি শ্যামল পিয়া কাজল মেঘে
	চাঁচর চিকুর ওড়ে পবন বেগে॥
	তোমার লাবনি ঝ’রে পড়িছে অবনি-পরে
	কদম শিহরে কর-পরশ লেগে॥
	তড়িৎ ত্বরিত পায়ে বিরহী-আঁখিরে ছায়ে তরাসে লুকায়।
	চলিতে পথের মাঝে ঝুমুর ঝুমুর বাজে নূপুর দু’পায়।
	অশনি হানার ছলে প্রিয়ারে ধরাও গলে,
ওগো	রাতের মুকুল কাঁদে কুসুম জেগে॥

বাণী

	ওকি ঈদের চাঁদ গো! চলে মদিনারই পথে গো!
যেন	হাসিন্ য়ুসোফ্ ফিরে এলো ফিরদৌস হতে গো।।
	যাহারা তার রূপ দেখে তারা ঝুরিছে আস্‌মানে
	গুল্ ভুলে তাই বুল্‌বুলি চেয়ে আছে গুলিস্তানে।
	বুঝি বেহেশ্‌তেরই বাদশাজাদা এলো সোনার রথে গো।।
	সাদা কবুতরের মত চরণ দুটি ছুঁয়ে,
	গোলাপ চাঁপা উঠছে ফুটে ধূলিমাখা ভুঁয়ে গো।
সেই	চাঁদের মুখে জোছনা সম খোদার কালাম ঝরে
তা’র	রূপ দেখে, তা’র গুণ শুনে মোর মন রহে না ঘরে লো,
আমি	উন্মাদিনী সেই মাদানী নবীর মোহব্বতে গো।।

বাণী

ওগো	দেবতা তোমার পায়ে গিয়াছিনু ফুল দিতে
মোর	মন চুরি ক’রে নিলে কেন তুমি অলখিতে।।
আজি	ফুল দিতে শ্রীচরণে
মম	হাত কাঁপে ক্ষণে;
কেন	প্রণাম করিতে গিয়া- প্রিয় সাধ জাগে পরশিতে।।
তুমি	দেবতা যে মন্দিরে- কাছে এলে যাই ভুলে
বঁধু	আমি দীন দেবদাসী কেন তুমি মোরে ছুঁলে।
		তুমি কাছে এলে যাই ভুলে।
আমি	হাতে আনি হেমঝারি’,
তুমি	কেন চাহ আঁখি-বারি;
আমি	পূজা-অঞ্জলি আনি, তুমি কেন চাহ মালা নিতে।।

বাণী

ওমা	একলা ঘরে ডাকব না আর দুয়ার বন্ধ ক’রে। 
তুই	সকল ছেলের মা যেখানে ডাকব মা সেই ঘরে।।
	রুদ্ধ আমার একলা এ মন্দিরে,
	পথ না পেয়ে যাস্ বুঝি মা ফিরে,
মোরে	জ্যোতির্লোকে ঘুম্ পাড়িয়ে তাপিত সন্তানে নিয়ে
	মাগো কাঁদিস্ বুকে ধ’রে।।
আমি	একলা মানুষ হ’তে গিয়ে হারাই মা তোর স্নেহ,
আমি	যে ঘর যেতে ঘৃণা করি মা,-সেবি তোর গেহ।
	দুর্বল মোর ভাই বোনদের তুলে,
আমি	দাঁড়াব মা যেদিন, চরণ মূলে।
	সেদিন মা তুই আপনি এসে
	কোলেতুলে নিবি হেসে,
আর	হারাব না তোরে।।