ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল
বাণী
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল। হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।। রোদের দাহে বালুচরে মরা নদী কেঁদে মরে গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।। ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ, ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক। ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে এমনি নীরব কান্না দোলে, করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
ওরে মাঝি ভাই
বাণী
ওরে মাঝি ভাই। ও তুই, কি দুখ পেয়ে কূল হারালি অকূল দরিয়ায়॥ চোখের জল্ তুই ছাপাতে চাস্, নদীর জলে এসে, শেষে নদীই এলো চক্ষে রে তোর; তুই চলিলি ভেসে। ও তুই কলস দেখে নামলি জলে রে, এখন ডুবে দেখিস্ কলস নাই॥ ও তুই কূলে যাহার কূল পেলিনে তরী অগাধ জলে মিছে খুঁজে মরিস ওরে পাগল, তরী বাওয়ার ছলে। ও রে দুই ধারে এর চোরা বালি রে, (ও) তোর হেথায় মনের মানুষ নাই॥
ওগো প্রিয় তব গান আকাশ-গাঙের জোয়ারে
বাণী
ওগো প্রিয়, তব গান! আকাশ-গাঙের জোয়ারে উজান বহিয়া যায় মোর কথাগুলি কাঁদিছে বুকের দুয়ারে পথ খুঁজে নাহি পায়।। ওগো দখিনা বাতাস, ফুলের সুরভি বহ ওরি সাথে মোর না-বলা বাণী লহ ওগো মেঘ, তুমি মোর হয়ে গিয়ে কহ বন্দিনী গিরি ঝরনা পাষাণ-তলে যে কথা কহিতে চায়।। ওরে ও সুরমা, পদ্মা, কর্ণফুলি তোদের ভাটির স্রোতে নিয়ে যা আমার না-বলা কথাগুলি ধুয়ে মোর বুক হ'তে ওরে 'চোখ গেল' বউ কথা কও' পাখি তোদের কণ্ঠে মোর সুর, যাই রাখি' কি? (ওরে) মাঠের মুরলী কহিও তাহারে ডাকি, আমার গানের কলি না-ফোটা বুলি ঝ'রে গেল নিরাশায়।।
ওহে রসিক রসাল কদলী
বাণী
ওহে রসিক রসাল কদলী। ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।। আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান। বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।। তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত, ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত। নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর তোমার কৃপার কাঙালি।।
কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’