ওরে ও মদিনা বলতে পারিস
বাণী
ওরে ও মদিনা বলতে পারিস কোন সে পথে তোর খেলত ধূলা-মাটি নিয়ে মা ফাতেমা মোর।। হাসান হোসেন খেলত কোথায় কোন সে খেজুর বনে পাথর-কুচি কাঁকর ল'য়ে দুম্বা শিশুর সনে সেই মুখকে চাঁদ ভেবে রে উড়িত চকোর।। মা আয়েশা মোর নবীজীর পা ধোয়াতেন যথা দেখিয়ে দে সে বেহেশত আমায় রাখ রে আমার কথা; তোর প্রথম কোথায় আজান-ধ্বনি ভাঙলো ঘুমের ঘোর।। কোন পাহাড়ের ঝর্ণা-তীরে মেষ চরাতেন নবী কোন পথ দিয়ে রে যেতেন হেরায় আমার আল-আরবি' তুই কাঁদিস কোথায় বুকে ধরে সেই নবীজীর গোর।।
ওরে সর্বনাশী মেখে এলি
বাণী
ওরে সর্বনাশী! মেখে এলি এ কোন চুলোর ছাই! শ্মশান ছাড়া খেলার তোর জায়গা কি আর নাই॥ মুক্তকেশী, কেশ এলিয়ে ওমা বেড়াস কখন কোথায় গিয়ে আমি এক নিমেষ তোকে নিয়ে (আমি) শান্তি নাহি পাই॥ ওরে হাড়-জ্বালানী মেয়ে, হাড়ের মালা কোথায় পেলি, ভুবন-মোহন গৌরী রূপে কালি মেখে এলি! তোর গায়ের কালি চোখের জলে আমি ধুইয়ে দেব আয় মা কোলে; তোরে বুকে ধরেও মরি জ্ব’লে, আমি দিই মা গালি তাই॥
ওগো প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ
বাণী
ওগো প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ আমার পাওয়ার বহু দূরে। তবু মনের মাঝে বেণু বাজে সেই পুরানো সুরে সুরে॥ বাজে মনের মাঝে বেণু বাজে প্রিয় বাজাতে যে বেণু বনের মাঝে আজো তার রেশ মনে বাজে॥ তব কদম-মালার কেশরগুলি আজি ছেয়ে আছে ওগো পথের ধূলি, ওগো আজিকে করুণ রোদন তুলি’ বয় যমুনা ভাটি সুরে॥ (আর উজান বয় না,) ওগো আজিকে আঁধার তমাল বনে, বসে আছি উদাস মনে ওগো তোমার দেশে চাঁদ উঠেছে আমার দেশে বাদল ঝুরে॥ সেথা চাঁদ উঠেছে — ওগো শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে সেথা শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে সখি তাদের দেশে আকাশে আজ আমার দেশের চাঁদ উঠেছে। ওগো মোর গগনে কৃষ্ণা তিথি আমার দেশে বাদল ঝুরে॥
ওরে আজই না হয় কালই তোরে
বাণী
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে। তুই কাঁদ্বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।। তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্তে মা কালীকে, তুই ভুল্লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।। তুই কালি দিয়ে লিখ্লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্লি পড়া, তোর মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা। তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো, (কালি) প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্পদ্মে দেখ্বি কবে।।