বাণী

ওগো পিয়া তব অকরুণ ভালোবাসা।
অন্তরে দিল বিপুল বিরহ, কবিতায় দিল ভাষা।।
	মোর গানে দিল সুর
	করুণ ব্যথা বিধুর,
বাণীতে দিল সুদূর স্বর্গের পিপাসা।।
তুমি ভালো করিয়াছ ভালোবাস নাই মোরে,
রাখ নাই ধ’রে আমারে তোমার ক’রে।
	মম বিরহের বেদনাতে
	তাই ত্রিভুবন কাঁদে সাথে,
ভুলেছি সবারে চেয়ে তোমারে পাবার আশা।।

বাণী

ওলো ননদিনী বল্
কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥
তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম
লইয়া যুবতীর ধরম গো
খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥
না শুনে লো তোদের গালি
মাখলাম কুলে কালার কালি গো
সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥
তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা
(তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্‌লো গোঠে চল্॥
কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত
ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল
ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে
তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥

বাণী

ওরে	ও-চাঁদ! উদয় হ’লি কোন্ জোছনা দিতে!
দেয়	অনেক বেশি আলো আমার নবীর পেশানীতে।।
ওরে	রবি! আলোক দিস্ যত তুই দগ্ধ করিস্ তত
	আমার নবী স্নিগ্ধ শীতল কোটি চাঁদের মত,
সে	নাশ করেছে মনের আঁধার ঈষৎ হাসিতে।।
ওরে	আসমান! তুই সুনীল হলি জানি কেমন ক’রে
	আমার নবীর কালো চোখের একটুকু নীল হ’রে।
ওরে	তারা! তোরা জ্যোতি পেলি নবীজীর চাউনিতে।।
ওরে	বসরা গোলাব! অনেক বেশি খোশবু তোদের চেয়ে
	সেই ধূলিতে মোর নবীজী যেতেন যে পথ বেয়ে,
	সেই বারতা ফুলকে শোনায় বুল্‌বুলি সঙ্গীতে।।

বাণী

(ওরা)	মানুষের তরে মালা গাঁথে, তাই সে-মালা শুকিয়ে যায় গো!
	সে-মালা শুকায় না কভু যারা দেয় শ্রীহরির পায় গো।।
	হরির চরণে নিবেদিত যার আত্মা ও তনুমন,
	এই সংসার তার কাছে হায় নিত্য বৃন্দাবন!
(তার)	হারায় না কিছু গো সকলই সে পায় শ্রীহরির করুণায়।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

বাণী

ওগো	আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া আমি ভয়ে ভয়ে মরি
	এ নহে মানুষ বুঝি ফেরেশ্‌তা আসিয়াছে রূপ ধরি’॥
		সে নিশীথে যখন বক্ষে ঘুমায়
		চাঁদ এসে তারে চুমু খেয়ে যায়
	দিনে যবে মেষ চারণে সে যায় মেঘ চলে ছায়া করি’,
	সাথে সাথে তার মেঘ চলে ছায়া করি’॥
	মনে হয় যেন লুকাইয়া রাতে তোমার শিশুর পায়
	কত ফেরেশ্‌তা হুর-পরী এসে সালাম করিয়া যায়॥
		সে চলে যায় যবে মরুর উপরে
		বস্‌রা গোলাপ ফোটে থরে থরে
	তার চরণ ঘিরিয়া কাঁদে ফুলবনে অলিকুল গুঞ্জরি’॥

বাণী

ওগো ঠাকুর! বলতে পার কোথায় তোমার দেশ।
সেই দেশেতে যাব আমি করবো দুখের শেষ।।
	কাঁদবো তোমার পায়ে ধ’রে
	আমার বাবা-মায়ের তরে,
দেখতে নারি ঠাকুর, তাদের আর এ দীন বেশ।।

নাটকঃ ‘নরমেধ’