ওগো অন্তর্যামী ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন
বাণী
ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন যেন থাকে নিশিদিন তোমারি সেবায় মোর তনু-প্রাণ-মন।। নয়নে কেবল দেখি যেন আমি তোমারই স্বরূপ ত্রিভুবন-স্বামী শিরে বহি যেন তোমারি পূজার অর্ঘ্য অনুক্ষণ।। এ রসনা শুধু জপে তব নাম এই বর দাও নাথ; তোমারি চরণ সেবায় লাগুক মোর এই দুটি হাত। ওঠে তব নাম প্রতি নিঃশ্বাসে শ্রবনে কেবল তব নাম ভাসে তব মন্দির-পথে যেন সদা চলে মোর এ চরণ।।
ওগো প্রিয় তব গান আকাশ-গাঙের জোয়ারে
বাণী
ওগো প্রিয়, তব গান! আকাশ-গাঙের জোয়ারে উজান বহিয়া যায় মোর কথাগুলি কাঁদিছে বুকের দুয়ারে পথ খুঁজে নাহি পায়।। ওগো দখিনা বাতাস, ফুলের সুরভি বহ ওরি সাথে মোর না-বলা বাণী লহ ওগো মেঘ, তুমি মোর হয়ে গিয়ে কহ বন্দিনী গিরি ঝরনা পাষাণ-তলে যে কথা কহিতে চায়।। ওরে ও সুরমা, পদ্মা, কর্ণফুলি তোদের ভাটির স্রোতে নিয়ে যা আমার না-বলা কথাগুলি ধুয়ে মোর বুক হ'তে ওরে 'চোখ গেল' বউ কথা কও' পাখি তোদের কণ্ঠে মোর সুর, যাই রাখি' কি? (ওরে) মাঠের মুরলী কহিও তাহারে ডাকি, আমার গানের কলি না-ফোটা বুলি ঝ'রে গেল নিরাশায়।।
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।
ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে
বাণী
দ্বৈত : ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে স্ত্রী : মধু মঞ্জির বোলে মণি কুন্তল দোলে পুরুষ : চন্দন লেখা শোভে চারুভালে॥ স্ত্রী : রস যমুনায় জাগে ঢেউ উতরোল পুরুষ : ব্রজগোপিকার প্রাণে লাগে তারি হিল্লোল দ্বৈত : রাস পূর্ণিমা রাতে শিখী নাচে সাথে সাথে ফুল দোলে কুঞ্জেরই বকুল ডালে॥ স্ত্রী : নাচে নন্দ দুলাল বাজে মোহন বেণূ পুরুষ : অঙ্গের লাবনিতে আলো করে অবনিতে দ্বৈত : হাসিতে ঝরায় ফুল পরাগ রেণু। স্ত্রী : রাঙা পায়ে রুমুঝুমু বাজে মধুর পুরুষ : জীবন মরণ তার যুগল নূপুর দ্বৈত : মুগ্ধ তারকা শশী রাতের দেউলে বসি আরতি প্রদীপ শিখা নিত্য জ্বালে॥