বাণী

ব্রজ-দুলাল ঘন শ‍্যাম
মোর হৃদে কর বিহার হে।।
নব অনুরাগের জ্বালায়ে বাতি
অঙ্গে অঙ্গে রাখি তব শেজ পাতি’
গাঁথি অশ্রু-মোতিহার হে।।
আরতি-প্রদীপ আঁখিতে জ্বালায়ে রাখি
পথ-পানে চাহি বার বার হে।।
নিবেদন করি নাথ তব চরণে
নিত্য পূজা-উপচার হে
বিরহ-গন্ধ ধূপ বেদনা চন্দন
পূজাঞ্জলি আঁখি-ধার হে
দেবতা এসো, খোল দ্বার হে।।

বাণী

বনপথে কে যায়।
মনে হয় যেন তারে চিনি আমি হায়।।
ছন্দে জাগায়ে সে-নিশীথ নিঝুম
বাজে নূপুর তার রুমা ঝুমা ঝুম্,
জাগে নিশীথিনী এলোচুলে পাষাণ বুকে নির্ঝর জাগায়।।

বাণী

ব্রজপুর-চন্দ্র পরমসুন্দর, কিশোর লীলা-বিলাসী
	সখি গো, আমি তা’রই চিরদাসী।
অমৃত-রস-ঘন শ্যামল শোভন, প্রেম-বৃন্দাবন-বাসী॥
	চাঁচর চিকুরে শিখী-পাখা যার,
	গলে দোলে বন-কুসুম হার
ললাটে তিলক, কপোলে অলক অধরে মৃদু মৃদু হাসি॥
	মকর কুন্ডল দোলে শ্রবণে,
	বোলে মণি-মঞ্জরি রাতুল চরণে
চির অশান্ত, চপল কান্ত বিশ্ব সে রূপ-পিয়াসি॥
	বক্ষে শ্রীবৎস কৌস্তুভ শোভে,
	করে মুরলী ভোলে মধুর রবে,
পীত বসনধারী সেই মাধবে যেন যুগে যুগে ভালবাসি॥

বাণী

বল্ সই বসে কেনে একা আনমনে
চল সই সই পাতাবি গাঁদা ফুলের সনে।।
নিয়ে পাথর কুচি, আউস ধানের গুছি
অজয় নদীর ধারে খেল্‌ব নিরজনে।।
দেখিস্‌ আস্‌বে ফিরে তোর চাঁদ নতুন চাঁদে,
চাঁদ-মুখ রেখে ঘরে কে সই রইতে পারে 
		আঁধার কয়লা খাদে!
আস্‌বে পোষা কোকিল, ডাকবে মহুল বনে।।
কিন্‌বে ধেনো জমি এবার টাকা এনে,
সে আর যেন গয়না কাপড় না কেনে
তোর বলতে যদি লাজে বাধে মুখে
আমি বল্‌ব তারে যা তুই ভাবিস মনে।।

বাণী

বউ কথা কও, বউ কথা কও, কও কথা অভিমানিনী
সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে যাবে কত যামিনী।।
সে কাঁদন শুনি হের নামিল নভে বাদল
এলো পাতার বাতায়নে যুঁই চামেলী কামিনী।।
আমার প্রাণের ভাষা শিখে ডাকে পাখি পিউ কাঁহা
খোঁজে তোমায় মেঘে মেঘে আঁখি মোর সৌদামিনী।।

বাণী

	বল দেখি মা নন্দরানী ওগো গোকুলবালা
(ওমা)	কেমন করে তোদের ঘরে (মা) এলো নন্দলালা।
	(মা তুই) কোন সাধনায় দধি মথন করে
	তুললি ননী হৃদয় পাত্র ভরে;
	তুই সেই নবনি দিয়ে যতন করে
	(মা তুই) গড়লি কি এই ননীর পুতুল আঁধার চিকনকালা।।
	অমন রসবিগ্রহ মা গড়তে পারে কে?
	গোপঝিয়ারি গড়তে পারে কে?
	গোকুল মেয়ে নস্ তুই মা তুই কুমারের ঝি।
	(মাগো) তুই নস্ যোগিনী তবু স্বগুণ বলে
	(মা তুই) শ্রীকৃষ্ণে বাঁধলি উদূখলে
	(আমায়) সেই যোগ তুই শিখিয়ে দে মা বসেই জপমালা।।