বসন্ত মুখর আজি
বাণী
বসন্ত মুখর আজি। দক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনে বনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি’।। অকারণ ভাষা তার ঝর ঝর ঝরে মুহু মুহু কুহু কুহু পিয়া পিয়া স্বরে, পলাশ বকুলে অশোক শিমুলে — সাজানো তাহার কল–কথার সাজি।। দোয়েল মধুপ বন–কপোত কূজনে, ঘুম ভেঙে দেয় ভোরে বাসর শয়নে। মৌনী আকাশ সেই বাণী–বিলাসে অস্ত চাঁদের মুখে মৃদু মৃদু হাসে, বিরহ–শীর্ণা গিরি–ঝর্ণার তীরে — পাহাড়ি বেণু হাতে ফেরে সুর ভাঁজি’।।
বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয়
বাণী
বাহির দুয়ার মোর বন্ধ হে প্রিয় মনের দুয়ার আছে খোলা, সেই পথে এসো হে মোর চিত-চোর — হে দেবতা পথ ভোলা।। সেথা নাহি কুল লাজ কলঙ্ক ভয়, নাহি গুরুজন গঞ্জনা নিরদয়; তাই গোপন মানস তমাল কুঞ্জে (আমি) বাঁধিয়াছি ঝুলন দোলা।। মোর অন্তরে বহে সদা অন্তঃসলিলা অশ্রু-নদী — সেই যমুনার তীরে কর তুমি লীলা নিরবধি । সে মিলন-মন্দিরে জাগাবে না কেহ, তব দেহে বিলীন হবে মোর দেহ; অনন্ত বাসর-শয্যা রচিয়া অনন্ত মিলনে রহিব উতলা।।
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
বাণী
বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।। কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।। কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার! নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।
বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী
বাণী
বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী দিব্বি হয়েছে ভাব! বদনা চাহিছে শুক্তুনী আর – চাহিছে গাড়ু কাবাব।। গাড়ু বলে এসো বদনা ভাইটি হোক শুভ চোখাচোখি। তুমি মোর হাতে পেঁয়াজ দাও আর আমি দিই হরতকি।। [শুনে বদনা ভাবে গদগদ হয়ে বলছেন ‘গাড়ুদাদা দাড়িতে একবার টিকিতে বুলাও না’] ও গাড়ু দাদা দাড়িতে বুলাও টিকি – ছুরি ও নাদ্না রাখি দোঁহে এসো আস্নাই করা শিখি।। [গাড়ু তখন ভাব জমিয়ে বলছেন] পাখিদের মাঝে বামুন যে রাম পাখি। কেননা মাথায় উহার জবা-ফুল বাঁধা টিকি দেখ নাকি তাহা দেখ নাকি? [বদনা তখন বদন ব্যাদন করে বলছেন] ও তো টিকি নয় দাদা ও যে তুর্কী ফেজ্। পাখিদের মাঝে উনি মোল্লাজী হ্যাঁদু নয় হরগেজ।। [গাড়ু তখন বদনার পিঠে নল বুলিয়ে বলছেন] হাতে দিব ক্ষীর নাড়ু ভাই, ছেড়ে দাও খাওয়া ঐ বড়টা। [শুনে বদনা অবাক – বল্লে] রে মদনা তাহলে কি দিয়ে খাইব পরটা? গাড়ু বলে, আহা দোস্তীর তরে ছাড়িতে হয়। এসা দাদা এসো জড়াজড়ি করি বদ্না গড়ায়ে কয়।। জড়াজড়ি থেকে গড়াগড়ি দুই নলে প্রেমবারি ঝরে। সেই ভাব দেখে বিদেশী কেটলী রাগে টগবগ করে।।
‘ভাই ভাই এক-ঠাঁই’