বাণী

তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা।
আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।।
১মা	:	আমি মালতী মুকুল
২য়	:	আমি ব্যাকুলা বকুল
৩য়া, ৪র্থা, ৫মা	:	মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল।
৬ষ্ঠা	:	আমি (আঁখি) জলের কমল
৭মা	:	আমি মাধবীলতা।।
৮মা	:	আমি গিরি-মল্লিকা
৯মা	:	আমি হাস্নুহানা
১০মা	:	আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা
১১শী	:	আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই।
১২শী	:	আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ
১৩শী	:	আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

তোমার বিবাহে আপনার হাতে (প্রিয়)
	আমি দেব হার পরায়ে।
মোর চোখে যদি জল করে টলমল
	আমি দু’হাতে দেব গো সরায়ে।।

নাটিকা : ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

তব ফুলহার নহে মোর নহে।
ভুলায়ো না আর মালার মোহে।।
মালার সাথে যদি না মেলে হৃদয়
হানে আরো জ্বালা, মালা সে নয়,
	আরো কাঁদায় বিরহে।।

বাণী

তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি
শুকাতে হয় শুকাইব ঐ বুকে ক্ষণেক থামি'।।
ঐ নয়নের জ্যোতি হব তিল হব ঐ কপোলের
দুলব মণির মালা হয়ে ঐ গলে দিবস-যামি।।
অঙ্গে তোমার রূপ হব গো ধূপ হব মিলন-রাতে,
গহীন ঘুমে স্বপন হব জল হব নয়ন-পাতে (আমি)।
তোমার প্রেমের সিঙহাসনে রানী হব, হে রাজা মোর।
চরণতলের ধূলি হব হে আমার জীবন-স্বামী।।

বাণী

তুই জগত-জননী শ্যামা আমি কি মা জগত ছাড়া,
কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
পুত্র অপরাধী ব'লে মা কি তারে নেয় না কোলে,
মা শাসন করে মারে-ধরে তবু কাছ ছাড়া করে না তারা।
কোন দোষে মা তুই থঅকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
ছেলের চোখে ঠুলি দিয়ে কি মা নিজেরে লুকিয়ে রাখে
ছেলের দুঃখে মা উদাসীন দেখিনি তো এমন মাকে।
মাতৃস্নেহ পেলে শ্যামা এমন মন্দমতি হতেম না মা
তুই যাহারে হানিস হেলা তার কে মোছাবে নয়ন-ধারা
কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।।

বাণী

তুমি কি আসিবে না
বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।।
	সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল
	আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল
সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।।
ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা
আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা।
	প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায়
	পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায়
পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।