শাওন রাতে যদি
বাণী
শাওন–রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে বাহিরে ঝড় বহে, নয়নে বারি ঝরে।। ভুলিও স্মৃতি মম, নিশীথ–স্বপন সম আঁচলের গাঁথা মালা ফেলিও পথ ‘পরে।। ঝুরিবে পূবালি বায় গহন দূর–বনে, রহিবে চাহি’ তুমি একেলা বাতায়নে। বিরহী কুহু–কেকা গাহিবে নীপ–শাখে যমুনা–নদীপারে শুনিবে কে যেন ডাকে। বিজলী দীপ–শিখা খুঁজিবে তোমায় প্রিয়া দু’ হাতে ঢেকো আঁখি যদি গো জলে ভরে।।
শ্যামা নামের লাগলো আগুন
বাণী
শ্যামা নামের লাগলো আগুন আমার দেহ ধূপ–কাঠিতে। যত জ্বলি সুবাস তত ছড়িয়ে পড়ে চারিভিতে।। ভক্তি আমার ধূমের মত উর্দ্ধে ওঠে অবিরত, শিব–লোকের দেব–দেউলে মা’র শ্রীচরণ পরশিতে।। ওগো অন্তর–লোক শুদ্ধ হল পবিত্র সেই ধূপ–সুবাসে, মা’র হাসিমুখ চিত্তে ভাসে চন্দ্রসম নীল আকাশে। যা কিছু মোর পুড়ে কবে চিরতরে ভস্ম হবে মা’র ললাটে আঁকব তিলক সেই ভস্ম–বিভূতিতে।।
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
বাণী
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥ সাথী-হারা একেলা পাখি, যে-সুরে যায় বনে ডাকি’ সেই সুরেরি কাঁদন মাখি’ বিধুর আমার প্রাণ॥ দিন শেষের ম্লান আলোতে ঘনায় যে বিষাদ আমার গানে জড়িয়ে আসে তারই অবসাদ। ঝরা-পাতার মরমরে, বাদল-রাতে ঝরঝরে বাজে আমার গানের সুরে গোপন অভিমান॥
শান্ত হও শিব বিরহ-বিহ্বল
বাণী
শান্ত হও, শিব, বিরহ-বিহ্বল চন্দ্রলেখায় বাঁধো জটাজুট পিঙ্গল।। ত্রি-বেদ যাহার দিব্য ত্রিনয়ন শুদ্ধ-জ্ঞান যা’র অঙ্গ-ভূষণ, সেই ধ্যানী শম্ভু — কেন শোক-উতল।। হে লীলা-সুন্দর, কোন্ লীলা লাগি’, কাঁদিয়া বেড়াও হ’য়ে বিরহী-বিবাগী। হে তরুণ যোগী, মরি ভয়ে ভয়ে কেন এ মায়ার খেলা মায়াতীত হ’য়ে, লয় হবে সৃষ্টি — তুমি হলে চঞ্চল।।
শহীদী ঈদগাহে দেখ্ আজ জমায়েত ভারি
বাণী
শহীদী ঈদগাহে দেখ্ আজ জমায়েত ভারি। হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্মান জারি।। তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক, হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।। ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে। তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।। ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে, ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্ আজি শমশের ল’য়ে। তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।