সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি
বাণী
সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি আমার হবে আমার ধ্যানে আমার জ্ঞানে প্রাণ মন মোর ঘিরে রবে।। রইবে তুমি প্রিয়তম আমার দেহে আত্মা-সম জানি না সাধ মিটবে কি-না - তেমন করেও পাব যবে।। পাওয়ার আমার শেষ হবে না পেয়েও তোমায় বক্ষতলে সাগর মাঝে মিশে গিয়েও নদী যেমন ব’য়ে চলে। চাঁদকে দেখে পরান জুড়ায় তবু দেখার সাধ কি ফুরায় মিটেছেল সাধ কি রাধার নিত্য পেয়েও নীল-মাধবে।।
সখি লো তায় আন ডেকে
বাণী
সখি লো তায় আন ডেকে যে গান গেয়ে যায় পথ দিয়ে। সই দিব তারে কণ্ঠহার, তার কণ্ঠেরি ঐ সুর নিয়ে॥ কারুর পানে নাহি চায় সে আপন মনে গেয়ে যায় প্রাণ কাঁপে সুরের নেশায় নয়ন আসে ঝিমিয়ে॥ সখি লো শুধিয়ে আয় সে শিখিল এ গান কোথায় এত মধু তার গলায় কার অধর-সুধা পিয়ে॥ যার গানে এত প্রাণ মাতায় না জানি কি হয় দেখ্লে তায় তার সুর শুনে কেউ প্রাণ পায় কেউ ফেলে প্রাণ হারিয়ে॥
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
বাণী
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।। নাই বৃষ্টি বাদল ওলো, দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো? অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।। পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে। মনে আমার পাইনে লো খেই; কে যেন নেই, কি যেন নেই। কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।
সদা মন চাহে মদিনা যাবো
বাণী
সদা মন চাহে মদিনা যাবো, আমার রসূলে আরবী, না হেরে নয়নে, কি সুখে গৃহে র’বো।। মদিনার বুকে রয়েছে ঘুমায়ে আমার বুকের নিধি তায় বুকে তার মিলাইব বুক পায়ে লুটাইব নিরবধি ধূলিকণা হবো, আমি ধূলিকণা হবো (ওগো) নবী পদরেখা যেই পথে আঁকা সেই পথে বিছাইবো। আবিল হতে দেবো না, মধুর স্বপন তপ্ত বরণ আবিল হতে দেবো না। সদা আকুল পিয়াসা জাগে পদমুখো হ'য়ে কদম রসূল চুম্ দিবো অনুরাগে। ধূলি হ’বো, আমি সেই পথের ওই ধূলি হ’বো নবী যে পথ দিয়ে চলেছিলেন সেই পথের ওই ধূলি হবো শুধু পায়ের চিহ্ন পরশ পাবো সেই পথের ওই ধূলি হ’বো।। প্রিয় নবীর রাঙা পা দু'খানি চুমিব সদা দিবস-যামী, আমার জীবনে লেগেছে নয়নের স্বাদ জুড়াতে আমার দেখিবো পোড়া নয়নের মোর আছে বড় খেদ মিটেনি আমার তৃষা গো হেথা নয়নের তৃষা অধরে মিটাতে এবার আমি ধূলি হ’বো।।
লেটোদলের গান
কীর্তনের সুরে নাত-এ রসুল