ওমা দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর
বাণী
(ওমা) দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে। (এবার) তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে।। মাগো সমন হাতে মোর মহাজন ধরতে যদি আসে এখন, তোরই পায়ে পড়বে বাঁধন ছেলের ঋণের দায়ে।। ওমা সুদ আসলে এ সংসারের বেড়েই চলে দেনা, এবার ঋণ মুক্তির তুই নে মা ভার, রইব তোরই কেনা। আমি আমার আর নহি ত (আমি) তোর পায়ে যে নিবেদিত, এখন তুই হয়েছিস্ জামিন আমার দে ওদের বুঝায়ে।।
ও মন চল অকুল পানে
বাণী
ও মন চল অকুল পানে, মাতি হরিপ্রেম-গুণগানে। নদী যেমন ধায় অকূলে কূল যত তায় টানে।। তুই কোন্ পাহাড়ে ঠেক্লি এসে কোন্ পাথারের জল হরির প্রেমে গ’লে এবার সেই অসীমে চল্, তুই স্রোতের বেগে দুল্বি রে কূল-বাধা যদি হানে।। এ পারের সব যাত্রী যাবে তোর বুকে ওপারে তোর কূলে শ্যাম বাজিয়ে বাঁশি আস্বে অভিসারে, শ্যামের ছবি ধর্বি বুকে মাত্বি প্রেম-তুফানে।।
ওরে আজই না হয় কালই তোরে
বাণী
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে। তুই কাঁদ্বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।। তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্তে মা কালীকে, তুই ভুল্লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।। তুই কালি দিয়ে লিখ্লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্লি পড়া, তোর মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা। তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো, (কালি) প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্পদ্মে দেখ্বি কবে।।