খেলা শেষ হল শেষ হয় নাই বেলা
বাণী
খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা। কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।। খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে, প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।। যাহারা আমার বিচার করেছে — ভুল করিয়াছে জানি, তাহাদের তরে রেখে গেনু মোর বিদায়ের গানখানি। হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল বালুকার বুকে ফুটায়েছি ফুল, তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
পাঠান্তর
খেলা শেষ হল, শেষ হয় নাই বেলা। কাঁদিও না, কাঁদিও না — তব তরে রেখে গেনু প্রেম-আনন্দ মেলা।। খেলো খেলো তুমি আজো বেলা আছে খেলা শেষ হলে এসো মোর কাছে, প্রেম-যমুনার তীরে ব’সে রব লইয়া শূন্য ভেলা।। যাহারা আমার বিচার করেছে আর তাহাদের কেহ, দেখিতে পাবে না কলঙ্ক কালিমাখা মোর এই দেহ। হই কলঙ্কী, হোক মোর ভুল পৃথিবীতে আমি এনেছি গোকুল, তুমিও ভুলিতে নারিবে সে-কথা — হানো যত অবহেলা।।
[গানটি ১৯৬৫ সালে জগন্ময় মিত্রের কণ্ঠে রেকর্ডের সময় প্রশিক্ষক কমল দাশগুপ্ত বাণীর কিছু পরিবর্তন করেছিলেন।
যথা: ১. খেলা শেষ হলে যেয়ো, যেয়ো মোর কাছে, ২. হোক অপরাধ হোক মোর ভুল]
খোদার হবিব হলেন নাজেল
বাণী
খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে। ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।। ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্বির আকাশে।। খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে, কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্তী ফুল ফুটে’ হাসে।। য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়, য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।। সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়, হৃদ-গগন যে কর্ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে। আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার, উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি
বাণী
খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি খুশ্-নসীব। জ্বাল্ দেয়ালি শবেরাতের জ্বাল রে তাজা প্রাণ প্রদীপ।। আন্ নয়া দ্বীনী ফরমান দরাজ দিলে দৃপ্ত গান, প্রাণ পেয়ে আজ গোরস্থান তোর ডাকে জাগুক নকীব।। আন্ মহিমা হজরতের শক্তি আন্ শেরে খোদার, কুরবানী আন্ কারবালার আন্ রহম মা ফাতেমার, আন্ উমরের শৌর্য বল সিদ্দিকের আন্ সাচ্চা মন, হাসান হোসেনের সে ত্যাগ শহীদানের মৃত্যুপণ, রোজ হাশরে করবেন পার মেহেরবান খোদার হাবিব।। খোৎবা পড়বি মসজিদে তুই খতীব নূতন ভাষায়, শুষ্ক মালঞ্চের বুকে ফুল ফুটাবি ভোর হাওয়ায়, এস্মে-আজম এনে মৃত মুসলিমে তুই কর সজীব।।
খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি’
বাণী
খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি’ তপ্ত গগনে জাগি। রুদ্র তাপস সন্ন্যাসী বৈরাগী।। সহসা কখন বৈকালি ঝড়ে পিঙ্গল মম জটা খু’লে পড়ে, যোগী শঙ্কর প্রলয়ঙ্কর জাগে চিত্তে ধেয়ান ভাঙি’১।। শুষ্ক কণ্ঠে শ্রান্ত ফটিক জল ক্লান্ত কপোত কাঁদায় কানন-তল, চরণে লুটায় তৃষিতা ধরণী আমার শরণ মাগি’।।
১. মম চিত্তে মাতে নৃত্যে যোগী শঙ্কর ধ্যান ভাঙি।