ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা
বাণী
ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা মেঘলা সকাল বেলা। বেণু বনে কে খেলে রে পাতা ঝরার খেলা। মেঘলা সকাল বেলা।। কাজল বরণ পল্লী মেয়ে বৃষ্টি ধারায় বেড়ায় নেয়ে, ব'সে দিঘীর ধারে মেঘের পানে রয় চেয়ে একেলা।। দুলিয়ে কেয়া ফুলের বেনী শাপলা মালা প'রে খেলতে এলো মেঘ পরীরা ঘুমতী নদীর চরে। বিজলিতে কে দূর বিমানে, সোনার চুড়ির ঝিলিক হানে, বনে বনে কে বসালো যুঁই-চামেলির মেলা।।
ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্ ঝোরে
বাণী
ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্ ঝোরে, দেখো সখি চম্পা লচ্কে বাদরা গরজে দামিনী দমকে আও বৃজকি কোঙারী ওড়ে নীল সাড়ি, নীল কমল-কলিকে পহনে ঝুমকে।। হায়রে ধান কি লও মে হো বালি ওড়নী রাঙাও সতরঙ্গী আলি, ঝুলা ঝুলো ডালি ডালি। আও প্রেম কোঙারী মন ভাও, প্যারে প্যারে সুরমে শাওনী সুনাও। রিমঝিম রিমঝিম পড়তে কোয়ারে সুন্ পিয়া পিয়া কহে মুরলী পুকারে, ওহি বোলী সে হিরদয় খটকে।।
ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা
বাণী
ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা এ শাঙনে। আজি রহিয়া রহিয়া গুমরায় হিয়া একা এ আঙনে ঘনিমা ঘনায় ঝাউ-বীথিকায় বেণু-বন-ছায় রে — ডাহুকীরে খুঁজি’ ডাহুক কাঁদে আঁধার-গহনে।। কেয়া-বনে দেয়া তুণীর বাঁধিয়া, গগনে গগনে ফেরে গো কাঁদিয়া। বেতস-বিতানে নীপ-তরুতলে শিখী নাচ ভোলে পুছ-পাখা টলে, মালতী-লতায় এলাইয়া বেণী কাঁদে বিষাদিনী রে — কাজল-আঁখি কে নয়ন মোছে তমাল-কাননে।।
নাটক : ‘ঝিলিমিলি’