বাণী

	ছয় লতিফার ঊর্ধ্বে আমার আরফাত ময়দান।
	তারি মাঝে আছে কারা জানে বুজর্গান।।
যবে	হজরতেরি নাম জপি ভাই হাজার হজের আনন্দ পাই,
	জীবন মরণ দুই উঠে ভাই দেই সেথা কোরবান্।।
	আমি তুর পাহাড়ে সুর শুনে ভাই প্রেমানন্দে গলি,
	ফানাফির রসুলে আমি হেরার পথে চলি।
	হজরতেরি কদম চুমি হিজরে আসোয়াদ
	ইব্রাহিমের কোলে চ’ড়ে দেখি ঈদের চাঁদ,
মোরে	খোতবা শুনাব ইমাম হয়ে জিব্রাইল কোরআন।।

বাণী

ছাড় ছাড় আঁচল, বঁধু, যেতে দাও।
বনমালী, এমনি ক’রে মন ভোলাও।।
একা পথে দুপুর বেলা, নিরদয়, একি খেলা।
তুমি এমনি করে মায়া-জাল বিছাও।।
পথে দিয়ে বাধা, একি প্রেম সাধা,
আমি নহি তো রাধা, বঁধু, ফিরে যাও।।
হে নিখিল নর-নারী, তোমার প্রেম-ভিখারি
লীলা বুঝিতে নারি তব শ্যাম রাও।।

বাণী

ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না
প্রেম যারে দিতে পারিলে না
	তারে আর কৃপা করিও না।।
আমি  করুনা চাহিনি কভু কারো কাছে
বহু লোক পারে, তব কৃপা যারা যাচে
যারে  হৃদয়ে দিলে না ঠাঁই
	তার তরে কাদিঁও আখিঁজল ঝুরিও না।।
ভুল করেছিনু যেথা শুধু বিষ অসুন্দরের ভিড়,
সেই   পৃথিবীতে কেঁদেছি খুজিঁয়া প্রেম-যমুনার তীর।
যার তরণী ভাসিল বিরহের পারাবারে
পিছু ডেকে আর ফিরাতে চেয়ো না তারে
আমারে পাষাণ-বিগ্রহ ক'রে
	আর মালা পরিও না।।

বাণী

ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।।
শিমুল ফুলের মত ফটাফট্‌ ফাটে হিয়া
প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া,
সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।।
চিবুতে সজ্‌’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়,
আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়,
হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্‌ ওঠে ভোঁস ভাঁস।।
কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায়
বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই।
আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।।
বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো,
গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো,
নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।

বাণী

ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
চলে গিরি-কন্যা চঞ্চল ঝর্ণা
নন্দন-পথ-ভোলা চন্দন-বর্ণা।।
গাহে গান ছায়ানটে, পর্বতে শিলাতটে
লুটায়ে পড়ে তীরে শ্যামল ওড়না।।
ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ধীরি ধীরি বাজে
তরঙ্গ-নূপুর বন-পথ মাঝে।
এঁকেবেকে নেচে যায় সর্পিল ভঙ্গে
কুরঙ্গ সঙ্গে অপরূপ রঙ্গে
গুরু গুরু বাজে তাল মেঘ-মৃদঙ্গে
তরলিত জোছনা-বালিকা অপর্ণা।।