ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান
বাণী
ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান দেশ জননীর সমান প্রিয় যুগল সন্তান।। তাইতো মায়ের কোল নিয়ে ভাই ভা’য়ে ভা’য়ে বাধে লড়াই এই কলহের হবেই হবে মধুর অবসান এক দেশেরই অন্নজলে এক দেহ এক প্রাণ।। আল্লা বলে কোরান তোমায়, এলা বলে বেদ, যেমন পানি, জলে রে ভাই শুধু নামের ভেদ। মোদের মাঝে দেয়াল তুলতে যে চায় জানবে মোদের শত্রু তাহায় (জানবে রে) বিবাদ ক’রে এনেছি হায় অনেক অকল্যাণ মিলনে আজ উঠুক জেগে নব-হিন্দুস্থান। জেগে উঠুক হিন্দুস্থান।।
ভুবনময়ী ভবনে এসো
বাণী
ভুবনময়ী ভবনে এসো সীমার মাঝে এসো অসীমা। ভক্ত মনের মাধুরী দিয়ে গড়িয়াছি মা তোমার প্রতিমা।। চিন্ময়ী গো ধর মৃন্ময়ীরূপ কত যুগ মাগো জ্বলিবে পূজাধূপ মানসপটে বোধন ঘটে হও চির আসীনা করুণাময়ী মা।। সে কোন অতীতে সুদূর ত্রেতায় এসেছিলে মা অশিব নাশিনী আসিলে না আর ধূলির ধরায় দিলে না মা বর অমৃত ভাষিণী। কত যুগ গেল কত বরষ মাস কত বিফল পূজা কত কাঁদন হুতাশ জাগ যোগমায়া যোগনিদ্রা ভোল পুন বিশ্বে প্রচার হোক্ তব মহিমা।।
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম
বাণী
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম তোলে কে ভ্রমর-কুন্তলা কিশোরী ফুল দেখে বেভুল সিনান বিসরি’।। একি নূতন লীলা আঁখিতে দেখি ভুল কমল ফুল যেন তোলে কমল ফুল ভাসায়ে আকাশ-গাঙে অরুণ-গাগরি।। ঝিলের নিথর জলে আবেশে ঢল ঢল গ’লে পড়ে শত সে তরঙ্গে, শারদ-আকাশে দলে দলে আসে মেঘ, বলাকার খেলিতে সঙ্গে। আলোক-মঞ্জরি প্রভাত বেলা বিকশি’ জলে কি গো করিছে খেলা বুকের আঁচলে ফুল উঠিছে শিহরি’।।