বাণী

ও ভাই	আমার এ না’ যাত্রী না লয় ভাঙা আমার তরী।
আমি		আপনারে ল’য়ে রে ভাই এপার ওপার করি।।
আমি		এই জলেরি আয়নাতে ভাই দেখেছিলাম তায়
এখন		আয়না আছে প’ড়ে রে ভাই আয়নার মানুষ নাই।
তাই		চোখের জলে নদীর জলে রে আমি তারেই খুঁজে মরি।।
আমি		তারি আশে তরী নিয়ে ঘাটে ব’সে থাকি
আমার	তারির নাম ভাই জপমালা, তারেই কেঁদে ডাকি।
আমার	নয়ন-তারা লইয়া গেছে রে নয়ন নদীর জলে ভরি’।।
ঐ		নদীর জলও শুকায় রে ভাই, সে জল আসে ফিরে
আর		মানুষ গেলে ফিরে নাকি দিলে মাথার কিরে।
আমি		ভালোবেসে গেলাম ভেসে গো আমি হলাম দেশান্তরী।।

বাণী

ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর।
কোটি ভাস্কর জ্যোতি শূলপাণি নটবর।।
রজত গিরিনিভ কান্তি মনোহর।
জটা ভূষণ ত্রিনয়ন শশীশেখর।।
বাঘাম্বর যোগীন্দ্র ডমরুধর।
প্রসীদ আশুতোষ রুদ্র মহেশ্বর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

ও-রে শাদা মেঘ! তোর পাখা নাই তবু কেমনে
ভাসিয়া বেড়াস্ শান্ত শারদ-গগনে।।
	আমি তোর মত লঘু হ’ব
	আমি ধূলির ঊর্দ্ধে রব,
আমি দেখিয়া গৌরী-শঙ্কর-শোভা গলিয়া পড়িব চরণে।।
আমি নিশির কপোলে শিশিরের স্বেদ হেরিব,
আমি রংধনু হ’য়ে চাঁদের চাহনি ঘেরিব।
	সে কি নিশীথে বাঁশিতে ডাকে তাই
	সে কি জানে, মেঘ হতে কেন চাই,
যদি আমার বুকে দামিনী পায় — সে নবীন নীরদ-বরণে।।

বাণী

ও সে		বাঁশরি বাজায় হেলে দুলে যায়
		গোঠে শ্যামরায় নওল কিশোর।
		জোছনা পিয়াসে চাঁদ মুখ পাশে।
		ঘোরে গোপিনীর নয়ন-চকোর।।
		নীল উৎপল ভ্রমে মধুকর
		উড়ে চলে সাথে, ছাড়ি’ সরোবর,
		অঙ্গে গোপী-চন্দন বাস
		লুটিয়া পলায় সমীর-চোর।।
		চরণ-কমলে ভ্রমরের প্রায় —
		সোনার নূপুর গুঞ্জরিয়া যায়।
		শ্যামেরে নবীন নীরদ ভাবিয়া
		নাচিছে ময়ূর কলাপ মেলিয়া,
		ঢেউ তুলে যেন চলে রূপের সায়র।।

বাণী

ও তুই উলটা বুঝলি রাম
আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম।।
আমি চড়বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে চড়লো এসে,
ও বাব্বা —
আমি প্রিয়ার চিঠি চাইতে এলো কিনা ইনকামট্যাক্স-এর খাম।।
আমি চেয়েছিলাম কোঠা বাড়ি, তাই পড়লো পিঠে লাঠির বাড়ি
	ভুলে আমি বলেছিলাম তোমার পায়ে শরণ নিলাম।
	তুমি ভুল বুঝিলে, ভিটেবাড়ি সব হ'লো নিলাম।।
আমি চেয়েছিলম সুবোধ ভাইটি
তা না হয়ে, বাবা গোঁয়ার সে ভাই উচায় লাঠি
আমি শ্রী ব্রজধাম চাইতে ঠেলে দিলে শ্রীঘর হাজত ধাম।।

বাণী

		ওরে আমার চটি
		আমার ঠনঠনিয়ার চটি
		যাত্রা শুনতে কাহার সাথে গেলি তুই পালটি।।
মোর		শ্রীচরণ ভরসা গেলি কাহার পায়ে গ'লে
তুই		দু'বছর পায়ে ছিলি তোরে জানতাম সতী ব'লে
তুই		কাহার গোদা চরণ দেখে গেলি শেষে পটি'।
তোরে		নিয়ে গেছেন যিনি তার চটিখানি ফেলে
		এ চটি তো নয় রামচটিতং আছেন বদন মেলে'
				সদা আছেন বদন মেলে',
যেন		অষ্টাবক্র বেঁকে হয়ে গিয়েছেন ঠিক আঁশবঁটি
				বেঁকে হয়েছেন আঁশবঁটি।।
		চটি কেন তোরে রাখিনিকো বগল-দাবা ক'রে
বুঝি		এতক্ষণ সে ফাটিয়ে তোরে ফেলেছে পা' ভ'রে
		শেষে আস্তাকুড়েঁ দেছে ফেলে সে যে হয়তো চটিমটি'।।
আমি		ভাবি, এ তার পায়ের জুতো না তার গায়ের  নিমা
		আমারচটির পাশে ইনি ঠিক যেন দিদি মা
ওরে		চটি রে তোর দিদি হলেও চলতো মোটামুটি
তুই		চটপটিয়ে আয় চ'লে নয় সত্যি যা'ব চটি'।।