ও কুল-ভাঙ্গা নদী রে
বাণী
ও, কুল-ভাঙ্গা নদী রে, আমার চোখের নীর এনেছি মিশাতে তোর নীরে।। যে লোনা জলের সিন্ধুতে নদী, নিতি তব আনাগোনা মোর চোখের জল লাগবে না ভাই তার চেয়ে বেশি লোনা। আমায় কাঁদাতে দেখে আসবিনে তুই রে, উজান বেয়ে ফিরে' নদী, উজান বেয়ে ফিরে'।। আমার মন বোঝে না, নদী — তাই বারে বারে আসি ফিরে তোর কাছে নিরবধি। তোরই অতল তলে ডুবিতে চাই রে, তুই ঠেলে দিস তীরে (ওরে)।।
ওরে রাখাল ছেলে বল্ কি রতন পেলে
বাণী
ওরে রাখাল ছেলে বল্ কি রতন পেলে দিবি হাতের বাঁশি, তোর ঐ হাতের বাঁশি। বাঁধা দিয়ে খাড়ু আনব ক্ষীরের নাড়ু অম্নি হেলেদুলে এক্বার নাচ্ রে আসি॥ দেখ মাখাতে তোর গায়ে ফাগের গুড়া, আমার আঙ্গিনাতে ঝরা কৃষ্ণচূড়া। আমার গলার হার খুলে পরাব আয় কিশোর তোর পায়ে ফাঁসি॥ যেন কালিদহের জলে সাপের মানিক জ্বলে, চোখের হাসি, তোর ঐ চোখের হাসি, ও তুই কি চাস্ চপল মোরে বল্ আমি মরেছি যে তোরে ভালোবাসি॥ আসিস্ আমার বাড়ি রাখাল দিন ফুরালে আমার চুড়ির তালে দুলবি কদম ডালে। ছেড়ে গৃহ-সংসার ওর বাঁশুরিয়া, হব চরণ দাসী।
ওরে আজই না হয় কালই তোরে
বাণী
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে। তুই কাঁদ্বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে।। তুই জন্মের আগে ছিলি শিখে মা বল্তে মা কালীকে, তুই ভুল্লি আদি-জননীকে দু’দিন মা পেয়ে ভবে।। তুই কালি দিয়ে লিখ্লি হিসাব কেতাব-পুঁথি শিখ্লি পড়া, তোর মাঠে ফসল ফুল্ ফুটালো কালো মেঘের কালি-ঝরা। তোর চোখে জ্বলে কালীর কালো তাই জগতে দেখিস্ আলো, (কালি) প্রসাদ গুণে সেই আলো তুই হৃদ্পদ্মে দেখ্বি কবে।।
ওকে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
বাণী
ও কে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে মাঠে ওপার হতে। তার হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।। তার ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর অকরুণ বাঁশির কিশোর; উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল
বাণী
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল। হে দেবতা রাখ সেথা তোমার পদতল।। নিবেদনের কুসুম সহ লহ হে নাথ, আমায় লহ যে আগুনে আমায় দহ সেই আগুনে আরতি-দীপ জ্বেলেছি উজল।। যে নয়নের জ্যোতি নিলে কাঁদিয়ে পলে পলে, মঙ্গল-ঘট ভরেছি নাথ, সেই নয়নের জলে। যে চরণে করো আঘাত প্রণাম লহ সেই পায়ে নাথ রিক্ত তুমি করলে যে হাত, হে দেবতা! লও সে হাতে অর্ঘ্য-সুমঙ্গল।।