বাণী

ওরে	ও-চাঁদ! উদয় হ’লি কোন্ জোছনা দিতে!
দেয়	অনেক বেশি আলো আমার নবীর পেশানীতে।।
ওরে	রবি! আলোক দিস্ যত তুই দগ্ধ করিস্ তত
	আমার নবী স্নিগ্ধ শীতল কোটি চাঁদের মত,
সে	নাশ করেছে মনের আঁধার ঈষৎ হাসিতে।।
ওরে	আসমান! তুই সুনীল হলি জানি কেমন ক’রে
	আমার নবীর কালো চোখের একটুকু নীল হ’রে।
ওরে	তারা! তোরা জ্যোতি পেলি নবীজীর চাউনিতে।।
ওরে	বসরা গোলাব! অনেক বেশি খোশবু তোদের চেয়ে
	সেই ধূলিতে মোর নবীজী যেতেন যে পথ বেয়ে,
	সেই বারতা ফুলকে শোনায় বুল্‌বুলি সঙ্গীতে।।

বাণী

ওমা	যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
	তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।।
	তুই	কোলে নেবার দায় এড়িয়ে
		রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে,
তুই	পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।।
	কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে,
(মা)	তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে।
	এই	পুত্র জায়া মায়ার ছবি
		তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই,
	ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।

বাণী

ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো
তুই উঠলি রেঙে যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো।।
তোর মন আইঢাই কি দেখে কে জানে
তুই চুন বলে দিস হলুদ বাটা পানে
তুই লাল নটে শাক ভেবে কুটিস শাড়ির আঁচল গো।।
তুই এ ঘর যেতে ও ঘরে যাস পায়ে বাধে পা
বউ তোর রঙ্গ দেখে হাসছে ননদ জা।
তুই দিন থাকিতে পিদিম জ্বালিস ঘরে
ওলো রাত আসিবে আরো অনেক পরে
কেন ভাতের হাঁড়ি মনে ক'রে উনুনে দিস জল গো।।

বাণী

		ওরে আমার চটি
		আমার ঠনঠনিয়ার চটি
		যাত্রা শুনতে কাহার সাথে গেলি তুই পালটি।।
মোর		শ্রীচরণ ভরসা গেলি কাহার পায়ে গ'লে
তুই		দু'বছর পায়ে ছিলি তোরে জানতাম সতী ব'লে
তুই		কাহার গোদা চরণ দেখে গেলি শেষে পটি'।
তোরে		নিয়ে গেছেন যিনি তার চটিখানি ফেলে
		এ চটি তো নয় রামচটিতং আছেন বদন মেলে'
				সদা আছেন বদন মেলে',
যেন		অষ্টাবক্র বেঁকে হয়ে গিয়েছেন ঠিক আঁশবঁটি
				বেঁকে হয়েছেন আঁশবঁটি।।
		চটি কেন তোরে রাখিনিকো বগল-দাবা ক'রে
বুঝি		এতক্ষণ সে ফাটিয়ে তোরে ফেলেছে পা' ভ'রে
		শেষে আস্তাকুড়েঁ দেছে ফেলে সে যে হয়তো চটিমটি'।।
আমি		ভাবি, এ তার পায়ের জুতো না তার গায়ের  নিমা
		আমারচটির পাশে ইনি ঠিক যেন দিদি মা
ওরে		চটি রে তোর দিদি হলেও চলতো মোটামুটি
তুই		চটপটিয়ে আয় চ'লে নয় সত্যি যা'ব চটি'।।

বাণী

ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না।
মরা ফুলের সাথে ঝরিল যে ধূলি-পথে —
সে আর জাগিবে না, তারে ডাকিও না।।
তাপসিনী-সম তোমারি ধ্যানে
সে চেয়েছিল তব পথের পানে,
জীবনে যাহার মুছিলে না আঁখি ধার আজি তাহার পাশে কাঁদিও না।।
মরণের কোলে সে গভীর শান্তিতে পড়েছে ঘুমায়ে,
তোমারি তরে গাঁথা শুকানো মালিকা বক্ষে জড়ায়ে
যে মরিয়া জুড়ায়েছে, ঘুমাইতে দাও তারে জাগিও না।।

বাণী

ওলো ননদিনী বল্
কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥
তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম
লইয়া যুবতীর ধরম গো
খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥
না শুনে লো তোদের গালি
মাখলাম কুলে কালার কালি গো
সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥
তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা
(তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্‌লো গোঠে চল্॥
কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত
ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল
ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে
তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥