চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয়
বাণী
চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয় গালি, আমার গায়ে ঢ’লে প’ড়ে কুলে দিলে কালি।। লোহা বলে, হায় পাষাণী তুমিই লহ বুকে টানি’, (কেন) সোনা-রূপা ফেলে দিয়ে আমায় টান খালি।। চুম্বক আর লোহায় চলে দ্বন্দ্ব সারা বেলা, কে’দে মরে, বুঝতে নারে (এ) কোন্ নিঠুরের খেলা। হঠাৎ তাদের দৃষ্টি গেল খুলে ঊর্দ্ধ পানে চায় নয়ন তুলে, (দেখে) খেলেন তাদের নিয়ে রস-শেখর বনমালি।।
চল্ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা
বাণী
চল্ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা চল্ অমর সমরে, চল ভাঙি’ কারা জাগায়ে কাননে নব পথের ইশারা।। প্রাণ-স্রোতের ত্রিধারা বহায়ে তোরা ওরে চল! জোয়ার আনি, মরা নদীতে পাহাড় টলায়ে মাতোয়ারা।। ডাকে তোরে স্নেহভরে ‘ওরে ফিরে আয় ফিরে ঘরে’ তারে ভোল্ ওরে ভোল্ তোরা যে ঘর-ছাড়া।। তাজা প্রাণের মঞ্জুরি ফুটায়ে পথে তোরা চল্, রহে কে ভুলে ছেঁড়া পুঁথিতে তাদের পরানে দে রে সাড়া। রণ-মাদল আকাশে ঘন বাজে গুরু গুরু। আঁধার ঘরে কে আছে প’ড়ে তাহার দুয়ারে দে রে নাড়া।।
চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে
বাণী
চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে, তুমি নাই মোর কাছে — সেই কথা শুধু জাগে।। এই ধরণীর বুকে কত গান কত হাসি, প্রদীপ নিভায়ে ঘরে আমি আঁখি-নীরে ভাসি, পরানে বিরহী বাঁশি ঝুরিছে করুণ রাগে।। এ কী এ বেদনা আজি আমার ভুবন ঘিরে, ওগো অশান্ত মম, ফিরে এসো, এসো ফিরে। বুলবুলি এলে বনে বলে যাহা বনলতা — সাধ যায় কানে কানে আজি বলিব সে কথা, ভুল বুঝিও না মোরে বলিতে পারিনি আগে।।
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।