বাণী

চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম।
জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।।
অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর,
আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর;
এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।।
চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত,
মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ;
বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।।
পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ,
জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্‌;
বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।

বাণী

		চোখের বাঁধন খুলে দে মা খেলব না আর কানামাছি।
আমি		মার খেতে আর পারি না মা এবার বুড়ি ছুঁয়ে বাঁচি।।
			তুই পাবি অনেক মেয়ে ছেলে
			যাদের সাধ মেটেনি খেলে খেলে,
তুই		তাদের নিয়েই খেল না মা গো শ্রান্ত আমি রেহাই যাচি।
		দুঃখ-শোক-ঋণ-অভাব ব্যাধি মায়ার খেলুড়িরা মিলে,
		শত দিকে শত হাতে আঘাত হানে তিলে তিলে।
			চোর হয়ে মা আর কত দিন 
			ঘুরব ভবে শান্তিবিহীন,
তোর		অভয় চরণ পাই না কেন মা তোর এত কাছে আছি।।

বাণী

চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা এবার মোদের পূজিতে হবে।
বৃথাই কেঁদেছি বৃথাই সেধেছি সহেছি দুঃখ শোক নীরবে।।
	টলেনি পাষাণ বলনি কথা
	কাঁদিয়েছ চিরকাল নিঠুর দেবতা,
কাঁদিতে হবে আজ আমাদের ঘরে সে-পূজার ঋণ সুধিবে এ ভবে।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।

বাণী

চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে,
তুমি নাই মোর কাছে — সেই কথা শুধু জাগে।।
এই ধরণীর বুকে কত গান কত হাসি,
প্রদীপ নিভায়ে ঘরে আমি আঁখি-নীরে ভাসি,
পরানে বিরহী বাঁশি ঝুরিছে করুণ রাগে।।
এ কী এ বেদনা আজি আমার ভুবন ঘিরে,
ওগো অশান্ত মম, ফিরে এসো, এসো ফিরে।
বুলবুলি এলে বনে বলে যাহা বনলতা —
সাধ যায় কানে কানে আজি বলিব সে কথা,
ভুল বুঝিও না মোরে বলিতে পারিনি আগে।।

বাণী

চল্‌ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন হারা
চল্‌ অমর সমরে, চল ভাঙি’ কারা
জাগায়ে কাননে নব পথের ইশারা।।
প্রাণ-স্রোতের ত্রিধারা বহায়ে তোরা ওরে চল!
জোয়ার আনি, মরা নদীতে পাহাড় টলায়ে মাতোয়ারা।।
ডাকে তোরে স্নেহভরে ‘ওরে ফিরে আয় ফিরে ঘরে’
তারে ভোল্‌ ওরে ভোল্‌ তোরা যে ঘর-ছাড়া।।
তাজা প্রাণের মঞ্জুরি ফুটায়ে পথে তোরা চল্‌,
রহে কে ভুলে ছেঁড়া পুঁথিতে তাদের পরানে দে রে সাড়া।
রণ-মাদল আকাশে ঘন বাজে গুরু গুরু।
আঁধার ঘরে কে আছে প’ড়ে তাহার দুয়ারে দে রে নাড়া।।