বাণী

চলে কুস্‌মি শাড়ি পরি' বসন্তের পরী
নবীনা কিশোরী হেসে হেসে।
হেলিয়া দুলিয়া সমীরণে ভেসে ভেসে।।
রঙ্গীলা রঙ্গে নৃত্য-ভঙ্গে চলিছে চপলা এলোকেশে।
পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' ডাকে শাখে তাহারে ভালোবেসে।।
মদির চপল বায়, অঞ্চল উড়ে যায়,
সে বৈকালি সুর যেন চৈতী বেলাশেষে।।
মনে সে নেশা লাগায়, বনে সে আঁখির ইঙ্গিতে ফুল ফোটায়।
বেনুবনে তারি বাঁশি বাজে, তারি নাম গুঞ্জরে ভ্রমর
তার ঝির্‌ঝির্‌ মিরমির বাজে মঞ্জির নাচের আবেশে
তার ঝুমুর ঝুমুর নূপুর-ধ্বনি হাওয়াতে মেশে।।

বাণী

চম্‌’কে চম্‌’কে ধীর ভীরু পায়,
পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।।
শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়,
পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে —
		যেন তার তনুর পরশ চায়।।
শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর,
কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে,
		পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।।
চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে,
হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে,
		ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।

বাণী

চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী 
চারদিকে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥
যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায়
ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্‌মিল্‌ আলোর দেয়ালি।
এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি।
গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ.
				সবাই তাহার সঙ্গী।
যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায়
আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়।
			ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি।
নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥

সিনেমাঃ ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্।
ফ্যত্‌হেকি হো ফৌজ তুম্
ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্
ব্যখত্‌কে হো অওজ তুম্
		তুম্‌মে হ্যায় জোর ব্যল্।।
চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব
ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব,
নিকলা ওহ লো আফতাব —
		তুম্‌ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।।
ফ্যয়লনে কো বেকরার
সুরতে নূর অ্যওর নার,
জ্যল জ্যলা আফজা পুকার —
		জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।।
চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড়
উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়,
হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।

বাণী

চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা এবার মোদের পূজিতে হবে।
বৃথাই কেঁদেছি বৃথাই সেধেছি সহেছি দুঃখ শোক নীরবে।।
	টলেনি পাষাণ বলনি কথা
	কাঁদিয়েছ চিরকাল নিঠুর দেবতা,
কাঁদিতে হবে আজ আমাদের ঘরে সে-পূজার ঋণ সুধিবে এ ভবে।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।