আর অনুনয় করিবে না কেউ
বাণী
আর অনুনয় করিবে না কেউ কথা কহিবার তরে আর দেখিবে না স্বপন রাতে গো কেহ কাদেঁ হাত ধ'রে। তব মুখ ঘিরে আর মোর দু' নয়ন ভ্রমরের মত করিবে না জ্বালাতন তব পথ আর পিছল হবে না আমার অশ্রু ঝরে'। তোমার ভুবনে পড়িবে না আর কোনদিন ছায়া মম তোমার পূর্ণ-চাদেঁর তিথিতে আসিব না রাহু-সম। আর শুনিবে না করুণ কাতর এই ক্ষুধাতুর ভিখারির স্বর শুনিবে না আর কাহারও রোদন রাতের আকাশ ভ'রে।।
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়
বাণী
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়। বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।। আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায় কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায় কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায় কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।। কেন এ ব্যথা এ আকুলতা পরের লাগি এ পরান পুড়ে? মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।
তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার
বাণী
তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর এ ভার বইতে নারি আর।। সংসারেরি তরে খেটে জনম আমার গেল কেটে (ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।। বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ। অভাবকে আর করি না ভয় তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয় তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।
আজি চৈতী হাওয়ার মাতন লাগে
বাণী
আজি চৈতী হাওয়ার মাতন লাগে হলুদ চাঁপার ডালে ডালে। তালী বনে বাজে তারি করতালি ঐ তালে তালে।। ভ্রমর মুখে গুনগুনিয়ে যায় সে মৃদু সুর শুনিয়ে শুকনো পাতার মর্মরে তার নূপুর বাজে রুনুঝুনিয়ে।। ফুলে পাতায় রঙ মাখায় সে ফিকে সবুজ নীলে লালে আজি ওড়ে তাহার রঙের নিশান প্রজাপতির পাখার পালে পালে।।
রেকর্ড-নাটিকা, ‘বাসন্তিকা’